অনলাইন ডেস্ক : ইউরোপের দেশ বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে কৃষক আন্দোলন এখনো অব্যাহত রয়েছে। ধীরে ধীরে এটি আরও তীব্র এবং সহিংস হয়ে উঠছে। এক কৃষককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর ঘেরাও করার পরিকল্পনা নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন কৃষকরা। অতদূর পর্যন্ত তাদের যেতে দেওয়া না হলেও ব্রাসেলসের রাস্তা কার্যত অবরুদ্ধ করে দিয়েছেন কৃষকরা। ট্রাক্টর দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাস্তা। খবর ডয়চে ভেলের

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার কৃষকেরা সহিংস হয়ে ওঠে। তারা পুলিশের দিকে মলটোভ ককটেল ছুঁড়েছে। ঘটনায় দুইজন পুলিশ আহত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এক ধরনের স্প্রেও ব্যবহার করছে কৃষকেরা। পুলিশের সঙ্গে তারা লড়াই করছে। এই পরিস্থিতিতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে পুলিশ।

ব্রাসেলসের রাস্তাঘাটে প্রবল যানজট তৈরি হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে না বার হওয়াই ভালো। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দফায় দফায় কৃষকদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা চলছে। বেলজিয়ামের কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে কৃষকদের। তিনি জানিয়েছেন, একটি রাস্তা খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে। বস্তুত, তার বক্তব্য, আগেই কৃষকদের অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কৃষকেরা তাতে সন্তুষ্ট নয়।

দুইটি বিষয় নিয়ে কৃষকেরা বার বার আন্দোলনে নামছেন। এক, ইউক্রেন থেকে সস্তায় খাদ্যদ্রব্য আমদানি করা হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। দুই, পরিবেশের কথা মাথায় রেখে এমন কিছু নীতি তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা তাদের সমস্যায় ফেলছে।

ইইউর দাবি, পরিবেশের কথা মাথায় রাখতেই হবে। তা নিয়ে কোনো রকম আপসে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে এর মধ্যেই কৃষকদের কীভাবে আরো সুবিধা করে দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

শুধু বেলজিয়াম নয়, ইউরোপের একাধিক দেশে কৃষক আন্দোলন চলছে। জার্মানিতেও কৃষক আন্দোলন হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্লকের সবকটি দেশের জন্য একটি অভিন্ন কৃষি নীতি আছে। কৃষকেরা সেই নীতিরও বিরোধিতা করছে।