অনলাইন ডেস্ক : করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে সাসকাচুয়ানের প্রিমিয়ার স্কট মোর বক্তব্যের নিন্দা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। মো গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন- ভ্যাকসিন এখন আর করোনা সংক্রমণ কমাতে পারছে না, কাজেই ভ্যাকসিন আপনাকে আর রক্ষা করতে পারবে না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তার ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে বলছেন-‘তিনি মূলত বাজে কথা বলছেন। তার ওই বক্তব্যের কোন ভিত্তি নেই।’ প্রিমিয়ার স্কট মোর বক্তব্য বিতর্কের শুরু হয় গত শনিবারে।

ওই দিন প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, টিকাকরণ বা ভ্যাকসিনেশন এখন আর আপনাকে করোনা সংক্রমণ থেকে বিরত রাখে না, কেননা টিকা এখন সংক্রমণ হ্রাস করে না। পরে গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মো তার বক্তব্য কিছুটা পরিবর্তন করতেও টিকার অকার্যকারিতার মূল দাবি পুনরাবৃত্তি করেন। জনস্বাস্থ্যের কোন কর্মকর্তাকে সাথে না নিয়ে বা স্বাক্ষী না রেখে তিনি বলেন, তার কাছে যে তথ্য উপাত্ত আছে তাতে এটা পরিষ্কার যে টিকাকরণ এখন আর আগের মতো কার্যকর নয়। তিনি আরো বলেন, ‘সমস্ত কিছুর কথা হল, ভ্যাকসিনগুলো কাজ করে, কিন্তু তারা এখন আর আগের মত সংক্রমণ প্রতিরোধী নয়। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় ভ্যাকসিন যতটা কাজ করেছে এখন ওমিক্রনে ততটা কার্যকর নয়।’

তার এই বক্তব্যের সমালোচনা করে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রিমিয়ার রেমার বক্তব্য সঠিক নয়। তার বক্তব্যের পক্ষে কোন তথ্য প্রমাণ নেই। সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটি হেলথ অ্যান্ড এপিডেমিকওলজি বিভাগের অধ্যাপক নাজিম মুহাজারিন বলেছেন, তিডিন (স্কট মো) মূলত বাজে কথা বলছেন। তার বক্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কিছুটা কম- একথা সত্যি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এটা (ভ্যাকসিন) একেবারেই অকেজো। সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট এঞ্জি রাসমুসেন বলেন, এটা পরীক্ষিত সত্য যে যথাযত টিকাকরণ করোনা সংক্রমণকে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করে। বিশেষ করে যদি করোনা বুস্টার ডোজ দেয়া থাকে তবে তিনি এখন অনেকটাই নিরাপদ।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে সাসকাচুয়ানে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩৭২ জনের মধ্যে ১২৩ জন বা ৩৩ শতাংশের সম্পূর্ণ রূপে টিকা দেয়া ছিল না। বাকি ২৪৯ বা ৬৬% রোগির ফুলডোজ ভ্যাকসিন দেয়া ছিল। প্রিমিয়ার মো মূলত এই তথ্য থেকেই তার বক্তব্য দিয়েছেন।
কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন, হাসপাতালে ভর্তি সব রোগিই করোনায় আক্রান্ত ছিল না। অনেকেই সর্দি জ্বর বা অন্য কোন উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেরই করোনা ছিল না। তাছাড়া ডাটা বা পরিসংখ্যান সব সময় সঠিক চিত্র পাওয়া যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতামত ছাড়া শুধু তথ্য-উপাত্ত বা একটি সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেয়া তার উচিত হয়নি। সূত্র : সিবিসি