অনলাইন ডেস্ক : শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. জো অলিভার ও শেল্টার হেলথ নেট ওয়ার্কের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কেরি বেয়াল এখন অন্টারিওর হেমিলটন এলাকার ভ্যাকসিন ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত। তারা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে এালাকার গৃহহীন ও দরিদ্রদের করোনার ভ্যাকসিন দিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে অনেক দরিদ্র মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে। এই দুই ভ্যাকসিন ফেরিওয়ালা দরিদ্র জন গোষ্ঠির মাঝে করোনা মহামারি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি সবাইকে ভ্যাকসিনেটেড করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যে সব এলাকায় ভ্যাকসিনেশনের হার কম তারা সকাল থেকেই ওইসব এলাকায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন এবং মানুষকে করোনা মহামারির টিকা নিতে উদ্ভুদ্ধ করেন। মূলত গৃহহীন মানুষগুলোই তাদের প্রধান টার্গেট। তারা দরিদ্র মানুষগুলোকে করোনা মহামরির ভয়াবহতা এবং এ থেকে বাঁচতে টিকা নেয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অবহিত করেন। তারা বলেন, এভাবে প্রতিদিন আমরা প্রতি ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে একজনকে টিকার আওতায় আনতে পারছি। ফলে এলাকায় ভ্যাকসিনেশনের হার আগের চাইতে অনেক বেড়েছে। তারা আরো বলেন, এসব দরিদ্র মানুষের টিকা নেয়ার জন্য অনলাইনে নিবন্ধনের সামর্থ নেই, আবার তারা টিকা কেন্দ্রে যেতেও উৎসাহী নয়। তাই তাদেরকে টিকার আওতায় আনতে হলে আমাদেরকেই তাদের কাছে যেতে হবে।

ডা. কেরি বলেন, কানাডায় বর্তমানে যেখানে ৮১% লোক কমপক্ষে এক ডোজ টিকা পেয়েছে, সেখানে হেমিলটনে এই হার মাত্র ৫৯%। ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা ও উপকারীতা সম্পর্কে তিনি বলেন, করোনা মহামারি এমন একটি সংক্রমক ব্যাধি যা থেকে বাঁচতে হলে শুধু আপনি একা সুরক্ষিত হলে হবে না।

সবাইকে সুরক্ষিত হতে হবে। অর্থাৎ পুরো সমাজে ২/১ জন নন-ভ্যাকসিনেটেড থাকাও সবার জন্যই ক্ষতিকর।

তাদের টিকা কার্যক্রম সম্পর্কে ওই দুই ডাক্তার বলেন, যাদের টিকা দেয়া হচ্ছে তাদের হেলথ কার্ড নাম্বার এবং যাদের ওই কার্ড নেই তাদের ইমিগ্রেশন পেপার নম্বর অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল ভ্যাকসিন রেকর্ড সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরফলে তারা সাথে সাথে একটা পরিচিতি নাম্বার (আইডি) পেয়ে থাকে। ফলে ভবিষ্যতে তাদের ভ্যাকসিন পাসপোর্ট বা টিকা সংক্রান্ত অন্য কোন সনদ পেতে কোন সমস্যা হবে না।