অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুপ আচরণ ভাবাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ)। নির্ধারিত পরিমাণ ডোজ সরবরাহ করতে পারছে না তারা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছে ইইউ।

ফাইজার-বায়েএনটেক ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। ভ্যাকসিন ‘সংকটে’ করোনা মোকাবিলাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে বিকল্প খোঁজারও সুযোগ কম। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। খবর সিএনএনের

ইইউ বলছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ঠিক সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে মহামারি নিয়ন্ত্রণের পথ কঠিন হতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি যদি এমনই থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে ইইউ।

ফাইজার জানিয়েছে, গত সপ্তাহে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহের কথা ছিল তা তারা দিতে পারেনি। চুক্তির চেয়ে কম ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে তারা। আর ইইউ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, প্রতিশ্রুতি অনযায়ী ভ্যাকসিন দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে কথা বলে সন্তোষজনক কিছু আসেনি বলে জানিয়েছেন ইইউর স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকাইডস। তিনি বলেন, আলোচনা চলবে। চুক্তির চেয়ে কম ভ্যাকসিন দিচ্ছে তারা।

ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় উরসুলা ভন ডার লেন বলেন, ভ্যাকসিন উৎপাদনে প্রচুর অর্থ ঢেলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এখন কোম্পানিগুলোকে ভ্যাকসিন দিতেই হবে।

ভ্যাকসিন ‘সংকটে’ পড়ে ইউরোপের অনেক দেশকেই এরই মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গেছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, উৎপাদনগত কারণে ভ্যাকসিন সরবরাহে অসুবিধায় পড়েছে তারা। আর ফাইজারের ভাষ্য, এ সপ্তাহেই সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করা হচ্ছে।