স্পোর্টস ডেস্ক : অবশেষে হাজার বছর পথ হাঁটার পর বনলতা সেনের দেখা পেলেন লিওনেল মেসি, এবার মুখোমুখি বসে সুখ-দুঃখেল কথা বলার পালা তার।

কেটে গেলো মেসির শিরোপা খরা। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেই ম্যারাডোনার মতোই এবার পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে ছিল মেসির দাপট। কোথাও তিনি নেপুণ্যে ম্যারাডোনাকেও ছাড়িয়ে গেছেন হয়তো।

মেসির হাতেই খুললো কপাট, ৩৬ বছরের খরার ভূমিতে বৃষ্টি নামলো। সুখের সেই বারিধারায় ভিজে গেছে গোটা বিশ্ব, আর্জেন্টিনা; মেসির জন্মভূমি রোজারিও।
২০১৪ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে হারের পর অনেক রাত মেসির নির্ঘুম কেটেছে। অনেকেই বলে দিয়েছিলেন সোনালি ট্রফির দেখা না পেয়েই মেসির ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ করতে হবে। থেকে যাবে এক মহা অপূর্ণতা।

তবে যিনি সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন, তিনি তো জানেন কেমন করে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। দুঃখের নির্ঘুম রাতের বিনিময়ে কেমন করে কিনে নিতে হয় সুখের নির্ঘুম রাত।

মেসি এবার শুরু থেকে সেই করেছেন। সৌদি আরবের কাছে হারার পর যে দৌড় শুরু করেছেন। সেই দৌড়টা থামিয়েছেন শিরোপার কাছে এসে, হাতে ছুঁয়ে।

সেই সাথে বিশ্ব ফুটবলটাকে মেসি বাঁচিয়েছেন একটা কলঙ্কের হাত থেকে। মেসির স্পর্শ না পেলে যে বিশ্বকাপের গায়ে লাগতো কলঙ্কের দাগ; স্পর্শ দোষ হতো বিশ্বকাপের।

কেবল নিজেকে নয় মেসি বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে ফুটবলটাইকে যেন পূর্ণতা দিয়ে গেলেন। হয়তো সেই সাথে সর্বকালের সেরা ফুটবলারের তকমাটাও করে নিলেন নিজের।