অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের কেনোসা শহরে পুলিশের উপর্যুপরি গুলিতে গুরুতর আহত হন জ্যাকব ব্লেক নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও পঙ্গু হয়ে যান বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিনি শরীরে একাধিক আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গুরুতর আহতাবস্থায়ও তাকে বিছানার সঙ্গে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ব্লেকের চাচা সিএনএনকে বলেন, উইসকনসিন হাসপাতালে ছেলেকে দেখতে গেছেন ব্লেকের বাবা। সেখানে তার ছেলে একটি অস্ত্রোপচার থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন, এমন অবস্থায় ছেলের হাতকড়া পরানো দেখে তিনি কষ্ট পেয়েছেন।

ভুক্তভোগীর চাচা জাস্টিন ব্লেক বলেন, এটি আঘাতকেও অপমান। সে পঙ্গু, চলাফেরা করতে পারে না, তারা তাকে বেডের সঙ্গে হাতকড়া পরিয়ে রেখেছে কেন?

তবে এ ব্যাপারে কেনোসা শহরের পুলিশ তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

গত রোববার বিকালে কেনোসা শহরে জ্যাকব ব্লেককে গুলি করে পুলিশ। তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, তাকে আটকের সময় পুলিশ কর্মকর্তা ৭টি গুলি ছোড়েন।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুই পুলিশ তাকে অনুসরণ করতে থাকে। ২৯ বছর বয়সী ওই কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ গাড়িতে ওঠার সময় পুলিশ তাকে পেছন থেকে গুলি করে। পর পর ৭টি গুলির শব্দ শোনা যায়। পরে তাকে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনা সামনে আসার পর রাতেই হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে রাস্তায় নেমে আসেন। বিক্ষোভকারীরা আগ্রাসী হয়ে উঠলে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। জারি হয় কারফিউ। তবে কারফিউ উপেক্ষা করেই সোম ও মঙ্গলবার রাতে আবারও রাস্তায় নামেন বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভের তৃতীয় রাতে দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই সময় গুলিতে একজন গুরুতর আহত হন।

তবে এ ঘটনার পর কেনোসা পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে শহরে গুলির ঘটনায় কয়েকজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। গুলিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং গুলিবিদ্ধ একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালের ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক নিহত হন। ওই সময় দেশজুড়ে তুমুল বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়।