লিসবনের প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা নতুন সংকটে

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি&comma; পর্তুগাল &colon;<&sol;strong> পর্তুগাল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করলেও রাজধানী লিসবন মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার লিসবন মেট্রোপলিটন এরিয়াতে নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর করেছে। এই বিধিনিষেধ প্রবাসী ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করবে।<&sol;p>&NewLine;<p>ইমিগ্র্যান্ট এবং পর্যটন–অধ্যুষিত ইউরোপের দেশ হিসেবে পর্তুগালে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশির বসবাস রয়েছে এবং তাঁদের অধিকাংশই বিভিন্ন ব্যবসা–বাণিজ্যে জড়িত রয়েছেন। যেমন গ্রোসারি&comma; ট্যুরিস্ট শপ&comma; কফি শপ&comma; রেস্টুরেন্ট এবং বিবিধ পাইকারি ব্যবসা ইত্যাদি অন্যতম।<&sol;p>&NewLine;<p>মহামারির প্রকোপে পর্তুগালে পর্যটন ব্যবসায় ধস নামার কারণে ইতিমধ্যে পর্যটন–সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো গত মধ্য মার্চে বন্ধ হয়ে যায়। ১৮ জুন থেকে পর্যটন–সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু হলেও পর্যটক না থাকার কারণে বিক্রয় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছিল&comma; তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনের ৭০ শতাংশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রদান করা হলেও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে তেমন কিছুই পাননি। তবে সরকার নামমাত্র সুদে এবং দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন ঋণসুবিধা ঘোষণা করলেও অধিকাংশ প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা শর্তাবলি পূরণ করতে না পারায় এর আওতায় আসেননি।<&sol;p>&NewLine;<p>অপর দিকে উল্টো চিত্র গ্রোসারি ব্যবসায়&comma; অন্যান্য ব্যবসা থেকে এ ব্যবসায়ে ব্যবসায়ীদের আধিক্য রয়েছে পর্তুগালে&comma; বিশেষ করে রাজধানী লিসবনের এমন কোনো পাড়া-মহল্লা খুঁজে পাওয়া যাবে না&comma; যেখানে বাংলাদেশি প্রবাসী মালিকানাধীন একটি মিনি মার্কাদোখ্যাত &lpar;স্থানীয় নাম&rpar; মিনি স্টোর &lpar;গ্রোসারিসহ অন্যান্য পণ্য&rpar; নেই&comma; মহামারির প্রেক্ষাপটেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা থাকায় অন্য সময়ের তুলনায় তারা অঞ্চলভেদে দ্বিগুণ মুনাফা করতে সমর্থ হয়েছেন।<&sol;p>&NewLine;<p>তবে বর্তমানে লিসবন মেট্রোপলিটন এরিয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকার নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে&comma; যা আজ মঙ্গলবার ২৩ জুন রাত ১২টা থেকে কার্যকর হচ্ছে। নতুন বিধিনিষেধে মিনি মার্কাদো বা মিনি স্টোর &lpar;গ্রোসারিসহ অন্যান্য পণ্য&rpar;&comma; কফি শপ ব্যবসায়ীদের বিকেল আট ঘটিকার সময় বন্ধ করতে হবে। যদিও এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান প্রকারভেদে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকত। যেহেতু পাড়া-মহল্লাভিত্তিক দোকানগুলো সেহেতু ঘরে ফেরা মানুষ একটু দেরি করেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করত এবং কাজকর্ম শেষে কফি শপে আড্ডায় মশগুল হতো।<&sol;p>&NewLine;<p>এ অবস্থায় সময় ঘণ্টা কম হওয়ার ফলে এবং পিক আওয়ারে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। লিসবন মেট্রোপলিটন এরিয়া টেইলার্স এলাকার ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন&comma; তাঁর বিক্রয় অর্ধেকে নেমে আসতে পারে। শহরের অপর প্রান্তে কাম্পেলিড এরিয়ার ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। অপর দিকে শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত হসপিটাল সাও জোজে–সংলগ্ন অপর এক ব্যবসায়ী শোয়েব ভূঁইয়া জানিয়েছেন&comma; পর্যটক না থাকায় এমনিতেই তাঁর ব্যবসার অর্ধেকে নেমে এসেছে। এখন আবার নতুন বিধিনিষেধের কারণে এখন তা এক-তৃতীয়াংশে নেমে আসবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।<&sol;p>&NewLine;<p>পর্যটনভিত্তিক ব্যবসা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে&comma; চাকরিজীবীরাও লে-অফের কারণে ৭০ শতাংশ বেতন পাচ্ছেন এখন বর্তমানে মিনি মার্কাদো বা মিনি স্টোর ব্যবসায়ীরা একটু ভালো অবস্থানে থাকলেও নতুন বিধিনিষেধের কারণে তাঁরা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার মধ্যে পড়েছেন&comma; যার প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের রেমিট্যান্সে। বাংলাদেশে অবস্থিত পরিবার-পরিজনের জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করার জন্য অতি কষ্টে প্রবাসীরা অর্থ প্রেরণ অব্যাহত রাখলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছেন।<&sol;p>&NewLine;<p>প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা পাঁচটি করপোরেশনের প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে মিটিংয়ের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। ২২ জুন রাত ১২টার পর থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অন্যান্য বড় শহরেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবং আইন ভঙ্গকারীকে জেল-জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে বলেও সতর্ক করেছেন।<&sol;p>&NewLine;<p>২ মার্চ দুজন আক্রান্তের মধ্য দিয়ে পর্তুগালে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরু হয়। ২২ জুন পর্যন্ত মোট ৩৯ হাজার ৩৯২ জন আক্রান্ত হন এবং ১ হাজার ৫৩৪ জন মৃত্যুবরণ করেন। এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ৫৪৮ জন সুস্থ হয়েছেন।<&sol;p>&NewLine;<p>করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগাল দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে ব্যাপকহারে সংক্রমণ রোধ করতে পেরেছে। তা ছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি&comma; তা হলো তাদের হাসপাতাল ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সক্ষমতার ৫০ শতাংশ রোগীর সক্ষমতায় পৌঁছেনি বা ৫০ শতাংশ স্বাস্থ্যসুবিধা ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়নি। বর্তমানে লিসবনে প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর দুটি হাসপাতাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষিত টিমসহ যুক্ত করা হয়েছে।<&sol;p>&NewLine;