অনলাইন ডেস্ক : ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজার-বায়োএন টেকের করোনার টিকা অনুমোদন করেছে হেলথ কানাডা। অক্টোবরের মাঝামাঝি শিশুদের জন্য টিকার অনুমোদনের আবেদন করেছিল ফাইজার। গত শুক্রবার হেলথ কানাডা তাদের আবেদনে ইতিবাচক সাড়া দেয়। এখন যেকোন দিন শুরু হতে পারে শিশুদের টিকা কার্যক্রম। এদিকে ফাইজার কর্তৃপক্ষ কানাডার জন্য ৪৬ মিলিয়ন টিকা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। এই চালান পৌঁছালে কানাডার সব শিশুকে টিকা আওতায় আনা যাবে। এর আগে শিশুদেরকে বয়স্কদের ডোজের তিনভাগের একভাগ টিকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হেলথ কানাডা তাতে রাজি হয়নি। ফলে শিশুদের জন্য নতুন ফর্মুলায় ভ্যাকসিন তৈরি করে পাঠাচ্ছে ফাইজার। কানাডার প্রধান গণস্বাস্থ্য কর্মকর্তা টেরেসা টেম বলেন, শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন ফর্মুলা পরিবর্তন করেছে ফাইজার। এটি পরবর্তী জেনারেশনের জন্য উপযুক্ত একটি ফর্মুলা।
এদিকে অপর মার্কিন কোম্পানি মর্ডানাও গত সপ্তাহে কানাডার শিশুদের জন্য টিকা সরবরাহের আবেদন করেছে। তবে তাদের আবেদনের বিষয়ে হেলথ কানাডা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। অন্যদিকে ফাইজারের টিকার অনুমোদন দেয়ার পরদিনই কুইবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তারা শিশুদের করোনা টিকা দেয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। অভিভাবকেরা চাইলে স্কুলে অথবা নিকটস্থ ক্লিনিকে তাদের ৫ থেকে ১১ বছর বয়সে সন্তানের টিকা দিতে পারেন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সরকারি ঘোষণা আসেনি। আশা করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহে শিশুদের টিকার চূড়ান্ত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে। একটি সূত্র জানিয়েছে ডিসেম্বরের ১ম ডোজ এবং ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হতে পারে।
সেইন্ট জাস্টিন ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল কেন্দ্রর শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অলিভার ড্রইন বলেন, শিশুদের টিকার আওতায় আনার বিষয়টি অবশ্যই একটি ভালো খবর। এর মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ আরও সহজ হবে।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে কুইবেকে ৩৭ শতাংশ অভিভাবক তাদের শিশুদের টিকা দিতে চান না। এ বিষয়ে অলিভার ড্রইন বলেন, শিশুদের টিকার আওতায় আনতে না চাওয়াটা বোকামি। কেননা সব রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই সরকার এই টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, টিকা নেয়ার পর শিশুদের মধ্যে পার্শপ্রতিক্রিয়া আশঙ্কা খুবই কম। সূত্র : রেডিও কানাডা
