Home কানাডা খবর ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীদের জন্য ফাইজারের বুস্টার ডোজ অনুমোদন করেছে কানাডা

১৬ ও ১৭ বছর বয়সীদের জন্য ফাইজারের বুস্টার ডোজ অনুমোদন করেছে কানাডা

শাহনুর চৌধুরী : কানাডা সরকার ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীদের জন্য ফাইজার ও তাদের অংশীদার বায়োএনটেকের করোনা ভ্যাকসিনের একক বুস্টার ডোজ অনুমোদন করেছে। গত বুধবার এই অনুমোদন দেয়া হয়। রেগুলেটর হেলথ কানাডা গত নভেম্বরে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য বুস্টার ডোজ অনুমোদন দিয়েছিল। প্রথম দুই ডোজ নেয়ার ৬ মাস পর বুস্টার ডোজ নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। দুইটি গবেষণা ফলাফলের ভিত্তিতে ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য বুস্টার শট অনুমোদন দেয়া হয়েছে। হেলথ কানাডা বলছে এক্ষেত্রে প্রদাহজনিত হৃদরোগের সম্ভাব্য ঝুঁকি, মায়োকার্ডাইটিস বা পেরিকার্ডাইটিসের আশঙ্কাগুলো বিবেচনা করা হয়েছে।

ফাইজার-বায়োএনটেক ও মর্ডানার করোনা টিকা নেয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে হেলথ কানাডা নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ১৬ বা তার বেশি বয়সীদের জন্য ফাইজারের টিকার সিরিজের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছিল।

গত জানুয়ারিতে কানাডার ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ইমিউনাইজেশন (এনএসিআই) বলেছে, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে যারা করোনা ঝুঁকিতে আছে তাদের বুস্টার ডোজ নেয়া উচিত। এদের মধ্যে রয়েছে গুরুত্বর অসুস্থ্য, আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাসরত, করোনা রোগীর সেবায় নিয়োজিত ও জাতিগত কারণে কোভিড-১৯ দ্বারা প্রভাবিতরা।

এনএসিআই বলেছে, কিশোর কিশোরীদের মধ্যে মর্ডানার চেয়ে ফাইজার-বায়োএনটেকের বুস্টার ডোজ বেশি কার্যকর হবে। কেননা মর্ডানার বুস্টার ব্যবহারের বিষয়ে ‘বর্তমানে কোন তথ্য নেই’। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যেও ফাইজার-বায়োএনটেকের বুস্টার ডোজ ব্যবহার করে কার্যকারিতা প্রমাণ হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের সাথে হৃদরোগের ঝুঁকির সম্পর্ক খুবই বিরল এবং এটি হলেও তা নিরাময় যোগ্য। গত বছর কিছু গবেষক বলেছিলেন, করোনার আর এন এ ভ্যাকসিন গ্রহণের পর অল্প সংখ্যক লোকের মধ্যে মায়োকার্ডাইটিস বা হৃদপিন্ডের পেশির প্রদাহ দেখা দিয়েছিল।

মন্ট্রিলের সিএইচ ইউ সেইন্ট জাস্টিনের মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজিস্ট ও শিশু সংক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: কেরোলিন কোয়াচ মান বলেছেন, মায়োকার্ডাইটিস অতি সাধারণ একটি বিষয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংক্রমণের পর এটি এমনিতেই চলে যায়। কিছু বিরল ক্ষেত্রে এটি যদি হৃদপিন্ডের রক্ত পাম্প করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে তবে চিকিৎসার মাধ্যমে সহজেই তা নিরাময় করা যায়।

করোনার টিকায়কম বয়সীদের জন্য হৃদরোগের ঝুঁকি থাকা সত্বেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ঝুঁকির চেয়ে বেশি।’ তাই তারা ১৬ ও ১৭ বছর বয়সী সবাইকে বুস্টার ডোজ নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সূত্র : সিবিসি

Exit mobile version