বিনোদন ডেস্ক : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু আত্মহত্যা করেননি, বরং এর পিছনে রয়েছে বড়সড় চক্রান্ত। খুনই হয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখনও এই মতের প্রেক্ষিতে কোনও যুক্তি বা প্রমাণ দিতে না পারলেও, সুশান্তের অনুরাগী এবং কাছের মানুষদের একাংশের দাবি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। মৃত্যুর পর থেকে এই ঘটনার পিছয়ে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছেন একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে ট্রেন্ডও হয়েছে সুশান্তের খুনিদের গ্রেফতারের দাবি।

তবে সম্প্রতি এই ঘটনার তদন্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে সুশান্তের ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানির ড্রাগ কারবারের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্রের খবর, রিয়া স্বীকার করেছেন এই ড্রাগ কেনার কথা। এরই সঙ্গে কুপার হাসপাতালের কর্মীর একটি বয়ান সামনে এসেছে। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি। সেখানে কর্মীর বক্তব্যে, এটি খুনের ঘটনার সরাসরি ইঙ্গিত মিলেছে। যার ফলে সুশান্তের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন সুশান্তের প্রিয় রানি দিদি।

সুশান্তের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, ঝুলে থাকার কারণেই দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে হাসপাতালেরই এক কর্মীর দাবি, এটি খুনের ঘটনা। আত্মহত্যা নয়। একটি সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, সুশান্তের দেহ একেবারে হলুদ হয়ে গিয়েছিল এবং গলার কাছে সুঁই ফোটানোর মতো একাধিক দাগ ছিল। শুধু তাই নয়, যখন সুশান্তের দেহ মর্গে আনা হয় তখন অভিনেতার দুই পা-ই ভাঙা ছিল। তা সোজা করা যাচ্ছিল না। সে কারণে, তিনি মনে করেন যে এটি খুনের ঘটনা।