অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের চাকরি ছাড়ার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। কানাডায় এই হার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। করোনা মহামারির সময় কাজের চাপ বৃদ্ধি, বিভিন্ন বিধি-নিষেধের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকা, নিজেদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিসহ বিভিন্ন কারণে অবসাদগ্রস্ত হয়ে তারা চাকুরী ছেড়ে দিচ্ছেন। বাড়তি বেতন-ভাতার প্রলোভন দেখিয়েও তাদেরকে কর্মস্থলে ধরে রাখা যাচ্ছে না।
অন্টারিও সাইন্টিফিক এডভাইজরি গ্রুপ অন কোভিড-১৯ এর মতে, কানাডার বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের চাকরি ছাড়ার হার এতটাই বেশি যে সেখানে স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এই গ্রুপটি আগেই ফোর্ড প্রশাসনকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছিল। তারা বলেছিল, মহামারি শেষে স্বাস্থ্যসেবা খাতে জনবল সংকট দেখা দিতে পারে। মহামারি শুরুর পর থেকেই তারা এ বিষয়ে গবেষণা শুরু করেছিল।
দ্যা অন্টারিও সাইন্টিফিক এডভাইজরি গ্রুপের হিসাব মতে কানাডায় ২০২০ সালের তুলনায় এখন চিকিত্সক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের পেশা ত্যাগের হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে ৬০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এতে করে হাসপাতালের অতি গুরুত্বপূর্ণ জরুরী বিভাগ, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আই সি ইউ) ও করোনা ইউনিটে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া জনবল সংকট থাকায় যারা এখনো কর্মস্থলে আছেন তাদের উপর কাজের চাপ বাড়ছে। ফলে তারাও নানান মানসিক ও শারীরিক অবসাদ জনিত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
অন্টারিও নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনও এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় নতুন লোক নিয়োগের কোন বিকল্প নেই। এছাড়া বাধ্যতামূলক ওভারটাইমের নিয়ম বাতিল করে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের চাপ কমানো এবং বেতন-ভাতা বাড়িয়ে কর্ম পরিবেশ উন্নয়নের উপরও জোর দেন তারা।
প্রসঙ্গত, অন্টারিওর হাসপাতলে ওভারটাইম বাধ্যতামূলক না হলেও এখন জনবল সংকটে ডাক্তারও নার্সরা সেখানে বাড়তি কাজ করতে নিজেরাই সম্মত হচ্ছেন। তবে গবেষকরা বলছেন, এভাবে বাড়তি কাজের চাপ একসময় কর্মীকে হতাশাগ্রস্ত করে ফেলে এবং চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। সূত্র : রেডিও কানাডা