অনলাইন ডেস্ক : হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন মূলহোতা ক্রিশ্চিয়ান এমান্যুয়েল স্যাননকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বসবাস করা এই ব্যক্তি নিজেকে একজন হাইতিয়ান চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেন। স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন হাইতির পুলিশ প্রধান লিওন চার্লস।

তিনি জানান, ৬৩ বছর বয়সী সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি গত জুনে রাজনৈতিক উদ্দেশ নিয়ে একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে হাইতিতে প্রবেশ করেন। তারই যোগসাজশে এ হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে। ইতিমধ্যে এই মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে গত ৭ জুলাই দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিজের বাসভবনে নিহত হন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি (৫৩)। ২০১৭ থেকে দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। স্থানীয় সময় আনুমানিক রাত একটায় পোর্ট-অ-প্রিন্সে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে অজ্ঞাতনামা সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা হামলা করে। প্রেসিডেন্ট নিহত হয়েছেন এবং ফার্স্ট লেডি গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৮ জনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। জড়িতদের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ান এবং দু’জন হাইতি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। তাদের অধিকাংশই কলম্বিয়ার সাবেক সেনা সদস্য।

হাইতির পুলিশ প্রধান বলেন, গ্রেফতারকৃত ক্রিশ্চিয়ান এমান্যুয়েল স্যাননের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল প্রেসিডেন্ট ময়িজকে বন্দি করা। কিন্তু পরবর্তীতে মিশন বদলে যায়। আরও দুইজন মূলহোতা আছে বলে ধারণা করছি।

অভিযুক্ত স্যানন হাইতির ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখতেন জানিয়ে তিনি বলেন, সেই অনুসারে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোরিডায় বসবাস করছিলেন। হত্যাকারী কয়েকজনকে নিজের দেহরক্ষী বানানোর আশ্বাস দিয়ে দলে ভেড়ান।

দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় বিদেশি সেনাদের সহায়তা চাচ্ছে হাইতি

অভিযানে স্যাননের বাসা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের লোগোযুক্ত একটি হ্যাট, ২০ বাক্স বুলেট, বন্দুকের অংশ, ডমিনিকান রিপাবলিকের চারটি গাড়ির নম্বরপ্লেট, দুটি গাড়ি ও অজ্ঞাত লোকদের বেশ কিছু চিঠিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান লিওন চার্লস।

হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়াদের মধ্যে ১৫ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনজন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। বাকি আটজন এখনো পলাতক। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।