অনলাইন ডেস্ক : সত্যিকারের ভালোবাসার পথ কখনই সহজ হয় না। জাপানের প্রিন্সেস মাকোর ক্ষেত্রেও এটি সত্যি হয়েছে। নানান বিতর্কের কারণে তার পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে দেরি হয়েছে তার। তবে এবার তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবেন তিনি। জাপানের ক্রাউন প্রিন্সের মেয়ে এবং সম্রাট নারুহিতোর ভাতিজি গত কয়েক বছর ধরে বিয়ের জন্য নানা বাধা পার করে চলেছেন। তবে অবশেষে এ বছরের শেষ দিকে তিনি তার প্রেমিক কেই কোমুরোকে বিয়ে করছেন। তারা বিয়ে করবেন কোনো ধরণের প্রথা না মেনেই। জাপানের রাজপরিবার থেকে বেড়িয়ে আসা মেয়েদের বিয়ের জন্য এককালীন অর্থ দেয়া হয়।

সেটিও গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন প্রিন্সেস মাকো। কী পরিমাণ অর্থ গ্রহণে তিনি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। যদিও জাপানি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রিন্সেস মাকো প্রায় ১৩৭ মিলিয়ন ইয়েন বা ১২ লাখ ডলারের মায়া ত্যাগ করেছেন।

জাপানের রাজকীয় আইন অনুযায়ী, রাজকীয় মর্যাদাহীন কাউকে বিয়ে করলে প্রিন্সেসকেও তার পদবী হারাতে হবে। ফলে প্রেমিক কেই কোমুরোকে বিয়ের পর ২৯ বছর বয়সী মাকো তার রাজকীয় পদবী হারাচ্ছেন। বর্তমানে তাদের বিয়ে আটকে আছে। কোমুরো এখন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখানে তিনি তার আইন নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মূলত নেতিবাচক আলোচনা থেকে দূরে থাকতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এই বিয়ে নিয়ে ক্রাউন প্রিন্স আকিশিনো গত বছর জানিয়েছিলেন, তিনি তার মেয়ের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। তবে তার মেয়েকে অবশ্যই মানুষের সমর্থন জয় করে নিতে হবে। কিন্তু প্রিন্সেস মাকো এখন সব প্রথা ভেঙ্গে সাধারণভাবে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একইসঙ্গে বিশাল অংকের অর্থও গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।