অনলাইন ডেস্ক : চীনের কিরগিজস্তান-জিনজিয়াং সীমান্ত অঞ্চলে ৭.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে বেশ কয়েকজন মানুষ আহত ও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। এই ঘটনার ঠিক এক দিন আগেই চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশে ভূমিধসে অন্তত ৪৭ জন চাপা পড়ে।

এদের মধ্যে ১১ জন নিহত এবং অনেকে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে।

এদিকে চীনের ভূমিকম্প প্রশাসনের মতে, ভূমিকম্পটি রাত ২টা ৯ মিনিটে আঘাত হানে। উত্তর-পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের উশি অঞ্চলের পাহাড়ি সীমান্ত এলাকায় ভূপৃষ্ঠের ২২ কিলোমিটার (১৩ মাইল) গভীরতায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

জিনজিয়াং ভূমিকম্প সংস্থার মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রটি উশি থেকে প্রায় ৫০ কিমি (৩১ মাইল) দূরে অবস্থিত এবং কেন্দ্রের চারপাশে ২০-কিমি (১২ মাইল) ব্যাসার্ধের মধ্যে পাঁচটি গ্রাম অবস্থিত। অন্যদিকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ৪০টি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে বলে চায়না আর্থকোয়াক নেটওয়ার্ক সেন্টার জানিয়েছে।

চীনের ওয়েইবো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমের নেটিজেনরা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি উরুমকি, কোরলা, কাশগড়, ইইনিং এবং আশপাশের এলাকায় তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে। সিনহুয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর জিনজিয়াং রেলওয়ে বিভাগ অবিলম্বে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে এবং ২৭টি ট্রেনের চলাচল ভূমিকম্পের কারণে ব্যাহত হয়েছে।

ঘটনাস্থলে একটি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বলেছে, ক্ষতিগ্রস্তদের তাঁবু, শীতের কাপড়, কম্বল, বিছানা এবং গরম করার চুলা সরবরাহ করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জিনজিয়াংয়ে কয়েকটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। আর দেশটির নিকটবর্তী কাজাখস্তানের জরুরি মন্ত্রণালয় সর্বশেষ ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের কথা জানিয়েছে। কাজাখস্তানের বৃহত্তম শহর আলমাটিতে বাসিন্দারা তাদের বাড়ি ছেড়ে বের হয়ে যায়।

ঠাণ্ডা আবহাওয়া সত্ত্বেও তারা বাইরে জড়ো হয়। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। প্রায় ৩০ মিনিট পর পর কম্পন অনুভূত হয়। এ ছাড়া উজবেকিস্তানেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি