বিনোদন ডেস্ক : অসংখ্য অনুরাগী। অর্থকড়ির অভাব নেই। সেই সঙ্গে আবার দুর্দান্ত গানের আসর জমিয়ে দেন টমি সিং। পাঞ্জাবের বহু যুবকই যে তার মতো হতে চান, তা আর নতুন কী? তবে সেই টমিকে দেখার পর নাকি আঁতকে উঠেছিলেন মীরা রাজপুত। তাকে দেখার পরই নাকি শহিদ কাপুরের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যমে এমন দাবি করেছেন শহিদ কাপুর নিজেই।

বলিউডি সিনেমার উৎসাহীদের কাছে নতুন করে টমি সিংয়ের পরিচয় দিতে হবে না। তবে যারা হিন্দি সিনেমা সম্পর্কে তেমন খোঁজখবর রাখেন না, তাদের জন্য বলে রাখা ভাল যে টমি আদতে কাল্পনিক চরিত্র। তবে কাল্পনিক হলেও পাঞ্জাবের বাস্তব চিত্রকেই তুলে ধরেছিল টমি।

অভিষেক চৌবের তৈরি ‘উড়তা পাঞ্জাব’ মুক্তি পেয়েছিল সেই ২০১৬ সালে। তাতেই মুখ্য চরিত্র ছিলেন তেজিন্দর ওরফে টমি সিং। পাঞ্জাবের বাসিন্দাদের একাংশের মাদকাসক্তির সমস্যার উপর আলো ফেলেছিল অভিষেকের সেই ছবি।

অনেকে বলেন, “উড়তা পাঞ্জাবে’র আগে শহিদ কাপুরের এমন রূপ পর্দায় দেখা যায়নি। মাদকাসক্ত এক পাঞ্জাবি র‌্যাপ তারকার ভূমিকায় নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন শহিদ কাপুর। চুলের ছাঁট থেকে শুরু করে শরীরী ভাষা— সব কিছুতেই নিজেকে অন্য ছাঁচে ঢেলে ফেলেছিলেন তিনি।

শহিদকে কাপুরকে দেখে সদয় হয়েছিলেন দর্শকেরাও। শহিদের পাশাপাশি কারিনা কাপুর, আলিয়া ভাট এবং দিলজিৎ দোসাঞ্জের অভিনয়ও মাতিয়েছিল তাদের। বক্স অফিসে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল ‘উড়তা পাঞ্জাব’।

দর্শকের মন কাড়লেও পর্দায় টমিকে দেখে চমকে গিয়েছিলেন শহিদ কাপুরের স্ত্রী মীরা। সেই গল্পই শুনিয়েছেন শহিদ কাপুর নিজে।

২০১৫ সালের ৭ জুলাই মীরার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শহিদ কাপুরের। বিয়ের কিছু দিন পরেও নাকি মীরার সঙ্গে তেমন আলাপ-পরিচয় হয়নি। সে সময় ‘উড়তা পাঞ্জাব’ দেখতে গিয়েছিলেন দু’জনে। যদিও সিনেমা হলে নয়।

‘উড়তা পাঞ্জাব’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৬ সালের জুনে। তার আগে সম্পাদিত ছবিটি দেখতে যাওয়ার সময় মীরাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন শহিদ কাপুর। সংবাদমাধ্যমের কাছে সে অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন তিনি।

শহিদ বলেন, “আমি খুব একটা রাগী মানুষ নই। তবে একটা মজার ঘটনা বলি। মুক্তির আগে ‘উড়তা পাঞ্জাব’ দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম মীরাকে। যাওয়ার আগে মীরাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম- তুমি আসতে চাও? তাতে রাজি হয়ে গিয়েছিল মীরা।”

সেদিনের কথা বলে চলেন শহিদ। তার কথায়, “ছবিটি দেখার সময় মীরা আমার পাশেই সোফায় বসেছিল। তবে ছবির বিরতির সময় দেখি, আক্ষরিক অর্থেই আমার থেকে প্রায় পাঁচ ফুট দূরে ছিটকে গিয়েছে মীরা।”

মীরা হঠাৎ দূরে সরে বসলেন কেন? এ বিষয়ে শহিদ বলেন, “মীরার কাছে জানতে চেয়েছিলাম- কী হল? আমরা তখন সদ্য বিয়ে করেছি। তাও আবার পারিবারিকভাবে। তাই সেভাবে পরস্পরের সঙ্গে চেনাজানা হয়নি। তখন আমার দিকে তাকিয়ে মীরার প্রশ্ন ছিল, ওই লোকটাই তুমি?”

পর্দায় টমিরূপী শহিদকে দেখে মীরা নাকি এতটাই চমকে গিয়েছিলেন যে বলে উঠেছিলেন, “তুমি ওই লোকটার মতো? এমন ধরনের হলে আমি তোমার সঙ্গে থাকতে চাই না।”

তবে বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে সামলে নিয়েছিলেন শহিদ। তার কথায়, “মীরাকে আমি বলেছিলাম- আরে না না। ওটা টমি সিং। আমার সঙ্গে ওর কোনও সম্পর্কই নেই!” সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস