Home কানাডা খবর কুইবেকে মসজিদে গুলিবর্ষণকারী ২৫ বছরের মধ্যে প্যারোলের সুযোগ পাবেন

কুইবেকে মসজিদে গুলিবর্ষণকারী ২৫ বছরের মধ্যে প্যারোলের সুযোগ পাবেন

অনলাইন ডেস্ক : কুইবেক সিটির একটি সমজিদে গুলিবর্ষনের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ৫০ বছর নয় ২৫ বছরের মধ্যে প্যারোল বা শর্তাধীনে মুুক্তির আবেদন করতে পারবেন। স¤প্রতি সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে ৫০ বছর বা তার বেশি প্যারোলের অযোগ্যতার সময়সীমা নির্ধারণ ‘অস্বাভাবিক, নিষ্টুর ও অমানবিক।’ তাই মসজিদে ৬ জনকে হত্যাকারী বন্দুকধারীকে প্যারোলের জন্য ২৫ বছরের বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। আইনজীবীদের অনেকে এটিকে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বললেও এটি দেশে গুরুতর অপরাধের শাস্তিকে প্রবাবিত করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারি আলেকজান্দ্রে রিসোনেট নামে এক যুবক কুইবেক সিটিতে ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। তার নির্বিচার গুুলিতে ৬ জন নিহত হয়। তখন তার বয়স ছিল ২৭ বছর। ওই ঘটনায় বিচারকেরা ১ম মাত্রার অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে সাজা দেন এবং ক্রাউন প্রসিকিউটরেরা দেশটির শীর্ষ আদালতকে আসামীর প্যারোলের যোগ্যতার জন্য ৫০ বছর অপেক্ষা করার সুপারিশ করেন।

গত শুক্রবার এক সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ৯ জন বিচারকই ক্রাউনের আপিল খারিজ করে দেন। এ সময় আদালত বলেন, এ ধরনের শাস্তি শুধু প্রশাসনকে অসম্মানিত করে না বরং এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং ‘নিষ্ঠুর ও অস্বাভাবিক।’ তবে রায় প্রকাশের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ইসিলামিক কালচারাল সেন্টারের সভাপতি মোহাম্মদ লাবিদি শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে এই সিদ্ধান্তটি উত্তর আামেরিকায় ইসলাম বিদ্বেষ ও বর্ণবাদী দিক বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ অন্যদিকে বিসনেটের আইনজীবী চার্লস অলিভিয়ার গোসেলিন এই রায়কে ‘আশার ঝলক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, তিনি ইতোমধ্যে তার মক্কেল ও স্বজনদের সাথে কথা বলেছেন। তারা সবাই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি পেয়েছেন। তিনি বলেন, এই রায়ের ফলে আসামীর পক্ষে পুনর্বাসনের একটি প্রচেষ্টা দেখানোর সুুযোগ থাকবে।

গুলিতে যে ৬ জন নিহত হয়েছিলেন তারা হলেন, মামাদু তানাউ ব্যারি, আজিজুদ্দিন সুফিয়ান, আবদেল করিম হাসান, ইব্রাহিম ব্যারি, আবু বকর মাবদি ও খালেদ বিন কাসেম। প্রতিটি হত্যার জন্য ২৫ বছর করে মোট ১৫০ বছরের সাজা দেয়া হয়েছিল। কানাডায় মৃৃত্যুদণ্ড রহিত হওয়ার পর এটিই ছিল সর্বোচ্চ সাজা। সূত্র : সিবিসি

Exit mobile version