Home কানাডা খবর ‘বেগম পাড়ায়’ অবসর কাটাতে যান বাংলাদেশি ‘সাহেবরা’

‘বেগম পাড়ায়’ অবসর কাটাতে যান বাংলাদেশি ‘সাহেবরা’

অনলাইন ডেস্ক : স্বামী বাংলাদেশে বউ কানাডায়। স্বামীরা দেশ থেকে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করে পাঠায় বউয়ের কাছে। সে কারণে কানাডার টরেন্টোর একটি লোকালয়ের নাম হয়েছে ‘বেগম পাড়া’।

কথিত আছে, কোটি কোটি টাকা পাচার করে অনেকে বাংলাদেশি বেগম পাড়ায় স্থায়ী হয়েছেন। সেখানে বসতি গড়েছেন ৩৬শ’ কোটি টাকা পাচার করে পলাতক আলোচিত পি কে হালদারও।

শনিবার (২১ নভেম্বর) দুদকের ষোড়শ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান জানান, সেখানে কত বাংলাদেশির বাড়ি আছে তার কোনো তথ্য নেই তাদের কাছে, তবে এ বিষয়ে তদন্ত করবে দুদক।

কথিত আছে, বেগমপাড়ার বউরা আয়েশি জীবনযাপন করেন। আর তাদের কাছে অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা পাঠান বাংলাদেশে থাকা স্বামীরা। টাকা উপার্জনে ক্লান্তি আসলে অবসর কাটাতে কানাডায় বেগমদের কাছে যান সাহেবেরা। এ কারণে স্থানটির নাম দেয়া হয়েছে বেগম পাড়া।

কোটি কোটি টাকা পাচার করে কানাডার ‘বেগম পাড়ায়’ অনেক বাংলাদেশি স্থায়ী হওয়ার ঘটনা এখন ওপেন সিক্রেট। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন জানান, সরকারের অনেক আমলারও বাড়ি আছে বেগম পাড়ায়।

তিনি বলেন, অনেক সরকারি কর্মচারীদেরও ওখানে বাড়িঘর আছে। উনাদের ছেলে মেয়ে ওখানে থাকে।

দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান জানান, বেগম পাড়া রহস্যের কথা তারাও দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছেন। যদিও সেখানে কত বাংলাদেশির বাড়ি আছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই তাদের হাতে। তবে তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন দুদকের কমিশনার।

তিনি বলেন, বেগম পাড়ায় তাদের কি পরিমাণ বাড়ি আছে এটা এখনও মিথ। এটার সঠিক পরিসংখ্যান কারো কাছেই নেই। তবে আমাদের কাছে এই ধরণের অভিযোগ আছে। যখন তদন্ত করে এসব উদঘাটন হবে তখন আমরা এই সংখ্যা নিয়ে কথা বলতে পারবো।

কানাডায় এরকম অনেক বেগম পাড়া রয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ আছে, ৩৬শ’ কোটি টাকা পাচার করে পলাতক আলোচিত পি কে হালদারও বেগম পাড়ায় স্থায়ী হয়েছেন।

Exit mobile version