Home কানাডা খবর মানুষের ভালোবাসায় আবার বিজয়ী হলেন ডলি বেগম

মানুষের ভালোবাসায় আবার বিজয়ী হলেন ডলি বেগম

নির্বাচনী রাতে বিজয়ী ডলি বেগম

অনলাইন ডেস্ক : গত ২রা জুন অন্টারিও প্রভিন্সের ৪৩তম সাধারণ নির্বাচনে স্ক্যারবরো সাউথওয়েস্ট থেকে ডলি বেগম আবার নির্বাচিত হয়েছেন। নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির ডলি বেগম তাঁর নিকটতম প্রার্থী প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেট স্নিডার এর চেয়ে ৬,৫১৮ ভোট বেশী পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ডলি বেগম মোট ভোট পেয়েছেন ১৫,৯৫৪। তিনি গত বারের চেয়ে শতকরা ১.৪৩ ভাগ ভোট বেশী পেয়েছেন। বাংলাদেশের মৌলভীবাজারে জন্ম নেয়া ডলি বেগম টানা দ্বিতীয় বারের মত প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হয়ে আবার ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। উল্লেখ্য, ডলি বেগম হচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত একজন যিনি প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের মত একটি স্তরে জনগণের ভোটে ২০১৮ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ডলি বেগম একেবারে ছোটবেলায় পিতা মাতার সাথে কানাডায় আসেন। তিনি এখানকার গর্ডন এ ব্রাউন মিডল স্কুল এবং ডবিøউ এ পোর্টার কলেজিয়েট ইন্সটিটিউট এ পড়াশুনার পর টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। পরে তিনি ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে উন্নয়ন, প্রশাসন এবং পরিকল্পনা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী নেন। ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগে ডলি বেগম স্ক্যারবরো হেলথ কোয়ালিশনের কো-চেয়ার, ওয়ার্ডেন উডস কমিউনিটি সেন্টারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট, দ্য সোসাইটি অফ এনার্জী প্রফেশনালস এর রিসার্চ এনালিস্ট এবং অন্টারিও প্রভিন্সের ‘কিপ হাইড্রো পাবলিক’ ক্যাম্পেইন এর চীফ কোওর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে টরন্টোর কুইন্স পার্কের প্রাদেশিক পরিষদে নিজের যৌক্তিক বিষয় উপস্থাপনার কারণে তিনি খুব সহজেই অন্টারিও’র আইন পরিষদ এবং মিডিয়ার নজর কাড়তে সক্ষম হন। সেই সাথে তাঁর দল এনডিপি’র একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে তিনি বিবেচিত হতে থাকেন। গত নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পর ডলি বেগম নিজের নির্বাচনী এলাকা এবং অন্টারিও’র মানুষের জন্য যে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তার জন্য দিন দিন তাঁর প্রতি মানুষের ভালোবাসা ক্রমাগত বেড়েছে। সেই সাথে তাঁর অপূর্ব ব্যবহার তাঁকে মানুষের হৃদয়ের একেবারে কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। তাঁর এই সব গুণাবলীর জন্য তিনি বাঙ্গালি কমিউনিটির মানুষের কাছে যেমন ভালোবাসার এক মানুষ, ঠিক তেমনি তাঁর কমিউনিটিতে বসবাসরত অন্যান্য যে কোন জাতি, ধর্ম এবং বর্ণের মানুষের কাছে এক পছন্দের পাত্রী।

ডলি বেগমের এই বিজয় নিঃসন্দেহে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ পালক হিসেবে কাজ করবে। গত নির্বাচন থেকে এই বার যখন এনডিপি’র আসন সংখ্যা ৮টি কমে গেছে, সেখানে ডলি বেগমের ভোট শতকরা হিসেবে গত বারের চেয়ে বেড়েছে। এটা প্রমাণ করে, তাঁর প্রতি মানুষের ভালোবাসা দিন দিন বাড়ছে। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে ডলি বেগম এখনও অনেক বছর প্রত্যক্ষভাবে কাজ করতে পারবেন। আমরা প্রত্যাশা করি, মানুষের ভালোবাসা নিয়ে ডলি বেগমের এই বিজয় রথ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে এবং একজন বাংলাদেশী কানাডিয়ান হিসেবে তিনি আরও নতুন নতুন ইতিহাসের জন্ম দিবেন।

Exit mobile version