অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়া থেকে তেল কেনার দায়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কিনতে ইউরোপের দেশগুলোকে সতর্ক করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ বৈঠকে ভিডিও কলে যোগ দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘ইউরোপকে অবশ্যই রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে। কারণ এই অর্থ দিয়েই মস্কো ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।’
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘ম্যাক্রোঁ ও ইউরোপীয় নেতারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান। যেখানে ট্রাম্প স্পষ্টভাবে বলেন, ইউরোপকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে। কারণ শুধু এক বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কাছে জ্বালানি বিক্রয় করে ১.১ বিলিয়ন ইউরো আয় করেছে রাশিয়া।’
২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলার পর ইউরোপ রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের জ্বালানি নির্ভরতা ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। ইউরোপীয় কমিশন প্রস্তাব দিয়েছে, ২০২৮ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।
বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশ ২০২২ সালে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ও ২০২৩ সালে জ্বালানি আমদানি বন্ধ করেছে। তবে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার মতো কয়েকটি দেশ এখনও সীমিত পরিমাণে ক্রুড তেল নিচ্ছে। এছাড়া ভারতসহ তৃতীয় দেশে রাশিয়ার তেল প্রক্রিয়াজাত করার পর ইউরোপে পাঠানো হচ্ছে। ট্রাম্প আসলে কোন ধরনের আমদানিকে টার্গেট করেছেন, তা পরিষ্কার নয়।
কর্মকর্তা আরও জানান, ট্রাম্প বৈঠকে ইউরোপীয় নেতাদের বলেন, ‘রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থায়নে চীনও ভূমিকা রাখছে, তাই ইউরোপীয় নেতাদের দেশটির ওপরও অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে হবে।’
হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা জানান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইনও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকটি ছিল ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশ্ন তুলেছেন, ইউরোপীয়রা যদি এখনো রাশিয়ার অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখে, তবে তাদের আন্তরিকতা কোথায়? তিনি স্পষ্ট করেছেন, এটি তার যুদ্ধ নয়, ইউরোপীয়দেরই এগিয়ে আসতে হবে।’
ট্রাম্প এর আগে সতর্ক করেছিলেন, রাশিয়ার তেল কিনলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। তবে গত এপ্রিলে বহু দেশের ওপর শুল্ক আরোপের সময় রাশিয়ার ওপর সরাসরি কোনো শুল্ক আরোপ করেননি তিনি।
সূত্র: রয়টার্স
