Home কানাডা খবর টরোন্টোতে ২৫০ বছরের প্রাচীন ওক গাছসহ বাড়িটি বিক্রির নির্দেশ আদালতের

টরোন্টোতে ২৫০ বছরের প্রাচীন ওক গাছসহ বাড়িটি বিক্রির নির্দেশ আদালতের

অনলাইন ডেস্ক : টরন্টোতে ২৫০ বছরের পুরানো একটি ওক গাছসহ সম্পত্তি সিটি করপোরেশনের কাছে বিক্রির পক্ষে রায় দিয়েছেন অন্টারিওর একটি আদালত। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নর্থ ইয়র্ক এলাকার ওই সম্পত্তিটি সিটি অব টরন্টোর কাছে বিক্রির জন্য প্রাথমিক চুক্তি করেন এর মালিক আলি সিমাগা। কিন্তু প্রাচীন গাছটি সংরক্ষণ ও প্রদর্শন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়ায় এবং পরবর্তীতে করোনা মহামারির জন্য সম্পত্তিটি বিক্রির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ইতোমধ্যে বাড়িটির মূল্য আগের চাইতে বৃদ্ধি পাওয়ায় মালিক তা অন্যত্র বিক্রির চেষ্টা শুরু করেন। সিটি অব টরন্টো কর্তৃপক্ষ এতে বাঁধা দিলে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অন্টারিওর সুপ্রিম কোর্টের বিচারক সুসান ভেলা গত বৃহস্পতিবার এক আদেশে বাড়িটি আগের মূল্যেই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছে বিক্রির আদেশ দেন। আদালতে সম্পত্তির মালিক আলি সিমাগার পক্ষের আইনজীবী বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ৭ লাখ ৮০ হাজার ডলারে সম্পত্তিটি বিক্রির কথা হয়েছিল। কিন্তু প্রাথমিক চুক্তি অনুযায়ী সিটি কর্তৃপক্ষ ২% মূল্য পরিশোধ করেনি। এখন সম্পত্তিটির মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই মালিকের পক্ষে আগের চুক্তি থেকে সরে আসায় কোনো বাঁধা নেই। অন্যদিকে সিটি কর্তৃপক্ষের আইনজীবী জানান, ওক গাছটি নিয়ে মত বিরোধ এবং করোনা মহামারির জন্য তারা সে সময় চুক্তির টাকা পরিশোধ করতে সক্ষম হননি। আদালত দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধি সত্বেও আগের দামেই বাড়িটি বিক্রির নির্দেশ দেন এবং প্রাচীন গাছটি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করার জন্য আদেশ দেন। আদালত তার রায়ে বলেন, এক্ষেত্রে ‘বিশেষ পরিস্থিতির’ কারণে বিক্রেতা চুক্তি বাতিলের অধিকার হারিয়েছেন। ২৫০ বছরের পুরাতন ওক গাছটি সম্পর্কে স্থানীয় অধিবাসী এডিম জিওরগি বলেন, ‘গাছটি প্রায় ২৪ মিটার উঁচু এবং ৫ মিটার এলাকাজুড়ে এর শাখা-প্রশাখা ছড়ানো। যে কেউ প্রথম বার গাছটি দেখে অবাক হবে’। প্রসঙ্গত, আলি সিমাগা ২০১৫ সালে ৫ লাখ ২০ হাজার ডলারে নর্থ ইয়র্ক হাউসটি ক্রয় করেছিলেন। বর্তমানে এটির দাম প্রায় ১২ লাখ ডলার হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ শুনে সিমাগার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার এক বন্ধু সাবি আহসান বলেছেন, ‘রায়ে স্বভাবতই সিমাগা খুবই হতাশ। তিনি উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন।’ সূত্র : সিবিসি

Exit mobile version