অনলাইন ডেস্ক : ৩৭টি সুনির্দিষ্ট ফৌজদারি অপরাধের ঘটনায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেছে দেশটির বিচার বিভাগ। এর মধ্যে রয়েছে-জাতীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, পরমাণু বিষয়ক রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সরিয়ে ফেলা ও ন্যায়বিচারে বাধা সৃষ্টিসহ নানা অপরাধের অভিযোগ।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (৯ জুন) তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রকাশ করা হয়।
শনিবার (১০ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর এসব নথি নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। পারমাণবিক কর্মসূচির গোপন নথি নিজের ব্যক্তিগত বাসভবনের বাথরুমেও রেখেছিলেন তিনি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের কাছে থাকা গোপন নথিতে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির বিস্তারিত ছিল। এসব নথি হাতছাড়া হলে হুমকির মুখে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা।
নিজ বাসভবন ছাড়াও কিছু গোপন নথি তদন্তকারী ও নিজের আইনজীবীদের কাছেও লুকিয়ে রেখেছিলেন ট্রাম্প। কয়েকটি বাক্সে ভরে নথিগুলো ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো অবকাশযাপন কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে কিছু নথি নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে নিজের গলফ ক্লাবে সরিয়ে নেন।
২০২১ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুই দফায় পারমাণবিক অস্ত্র–সম্পর্কিত গোপন নথি অন্যদের দেখিয়েছিলেন ট্রাম্প। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) মায়ামির আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পাশাপাশি সমন জারি করা হয়।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) ৭৭তম জন্মদিনে মায়ামি আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের। এ মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে ট্রাম্পের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। যদিও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে, হঠাৎ করেই ট্রাম্পের দুই আইনজীবী জিম ট্রাস্টি ও জন রাউলি মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মাঝে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলে মন্তব্য করেছেন ডেমোক্র্যাট দলের অনেকে।
একজন রাষ্ট্রপ্রধানকে অভিযুক্ত করা অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী কেভিন ম্যাকার্থি। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।