রাশিদুল হাসান : টরন্টোতে গ্রোসারির দাম আকাশচুম্বী, বিশেষ করে লেটুস ও মুরগির দাম, যা গত সপ্তাহে অস্বাভাবিক বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি ভাবতেই পারেন যে আমরা মন্দার মধ্যে হাঁটু গেড়ে বসে আছি। নতুন বছরে এসেও কানাডিয়ান অর্থনীতি নিয়ে উচ্চাশা নেই অধিকাংশ অন্টারিওবাসীর। নতুন এক সমীক্ষায় এমনটাই উঠে এসেছে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া অন্টারিওবাসীরা তাদের ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থা নিয়েও খুব একটা স্বস্তিতে নেই। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮৩ শতাংশ অন্টারিওবাসী মনে করেন কানাডা মন্দার মধ্যে রয়েছে। দেশ প্রবৃদ্ধিতে আছে বলে মনে করেন মাত্র ১০ শতাংশ অন্টারিওবাসী।

যদিও কানাডা একটি গুরুতর অর্থনৈতিক ধ্বস প্রত্যক্ষ করার পরও অনেক বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদদের মতে, আমরা আসলে সম্পূর্ণ প্রস্ফুটিত মন্দার মধ্যে নেই। গবেষণা গ্রæপ পোলারা স্ট্র্যাটেজিক ইনসাইটস কর্তৃক পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, কানাডিয়ানরা ২০০৮ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি হতাশায় ভুগছেন। যদিও সরকারের মতে, কানাডা এই মুহূর্তে মন্দার মধ্যে নেই, তবে অন্টারিওবাসী যে কষ্টে রয়েছে সেটা এর মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে। কোনো দেশে টানা দুই প্রান্তিক নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হলে দেশটি মন্দায় পড়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

পরবর্তী বছরে পরিস্থিতির যে উন্নতি হবে এমনটা আশা করেন না লোকজন। কানাডিয়ানরা মনে করছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ের দিকে যাচ্ছে তারা। সেই সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য উচ্চ অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যেও পড়তে হবে।

গবেষণায় এটাও দেখা গেছে যে, আগামী ১২ মাসে ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থা নিয়ে খুব একটা আশাবাদী হতে পারছেন না অন্টারিওবাসী। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া কমপক্ষে ৪৬ শতাংশ অন্টারিওবাসী মনে করেন ২০২৪ সালে তারা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়বেন। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন বলে মনে করেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মাত্র ৮ শতাংশ অন্টারিওবাসী।

তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ বছরে কোম্পানিটি যত সমীক্ষা করেছে তার মধ্যে ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস সবচেয়ে আশাবাদী মনে হচ্ছে। অন্টারিওতে খাদ্য ও গ্রোসারির উচ্চ মূল্য নিয়ে চাপ তৈরি করছে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪৪ শতাংশ উত্তরদাতার ওপর। আবাসন উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে উঠেছে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৬ শতাংশ অন্টারিওবাসীর কাছে। কারণ, গ্যাসের দাম ২৭ শতাংশ বেড়ে গেছে। এ দিকে, স¤প্রতি প্রকাশিত তার সর্বশেষ বিজনেস আউটলুক সমীক্ষা অনুসারে ব্যাংক অফ কানাডা দেখতে পেয়েছে যে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিক্রির হার আগামী ১২ মাসে মারাত্মকভাবে হ্রাস পেতে পারে।