অনলাইন ডেস্ক : গত ১লা মার্চ, শুক্রবার, অন্যমেলা আয়োজিত টরন্টোর ১৫ চিজহম এভিনিউ’র ডন অব ড্যানফোর্থ মিলনায়তনে শহীদ খোন্দকার টুকু’র একক সঙ্গীতসন্ধ্যা উপস্থিত দর্শকরা আনন্দ ও উচ্ছ্বাসে উপভোগ করেন। ‘কেউ বলে ফাল্গুন, কেউ বলে পলাশের গান’ শিরোনামের এই অনুষ্ঠানে শহীদ খোন্দকার টুকু নিজেকে উপস্থাপিত করেন প্রেম-বিরহের এক গুচ্ছ গান নিয়ে।

বহু প্রতিভায় আলোকিত শহীদ খোন্দকার টুকু একজন কথাশিল্পী। সঙ্গীত শিল্পী হিসেবেও তিনি ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন। পেশায় ব্যবসায়ী টুকু জীবনের সিংহভাগ সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশের বাইরে, কিন্তু বাংলা ভাষার প্রতি এবং মাতৃভ‚মির প্রতি তাঁর অকৃপণ প্রেম ও ভালোবাসা তাঁকে সব সময় শৈল্পিক কাজের সাথে জড়িত রেখেছে। পিতার কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়ায় তাঁর জীবনের প্রথমভাগ কেটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায়। ফলে তাঁর জীবনে তিনি খুবই কাছ থেকে দেখেছেন ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বিভিন্ন মাহেন্দ্রক্ষণ। সেই সাথে নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রাজনৈতিক সচেতন সংস্কৃতি মনষ্ক ছাত্র হওয়ায় প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্দোলনে।

প্রায় তিন ঘণ্টার এই একক সঙ্গীতসন্ধ্যায় শহীদ খোন্দকার টুকু এপার বাংলা ও ওপার বাংলার বিভিন্ন শিল্পীদের গান পরিবেশন করেন। এগুলোর মধ্যে তাঁর কণ্ঠে শচীন দেব বর্মণের চারটি গান দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। সেই সাথে তাঁর গাওয়া শেষ গান ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো’ গানটি উপস্থিত দর্শকদের আবেগায়িত করে তোলে এবং সকলেই সমবেতভাবে শিল্পীর সাথে গানটি গেয়ে উঠেন। শহীদ খোন্দকার টুকুর একক সংগীতসন্ধ্যায় যন্ত্রে সঙ্গ দেন জাহিদ হোসেন, তানজীর আলম রাজীব, রনি পালমার ও সোহেল ইমতিয়াজ।