সোনা কান্তি বড়ুয়া : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায় অবস্থিত শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের বয়স প্রায় আড়াইশ বছর। বাংলাদেশে বৌদ্ধ পালরাজাগণ চারশত বছর রাজত্ব করেছিলেন (720 A. D. TO 1131 A. D.) এবং আজ ষড়যন্ত্রের যাঁতাকলে নানা সংকটে বৌদ্ধ রাখাইনরা বিলীন হওয়ার শঙ্কায়….বিলুপ্ত হওয়ার পথে! সমকাল পত্রিকা থেকে (7 JULY 2023)! যুগ যুগ ধরে স্থানীয় রাখাইন আদিবাসীরা এখানে গৌতমবুদ্ধের উপাসনা করে আসছেন। তবে চিটিংবাজ দখলদারদের হ্যাপিনেস সুখের চর্চায় স্থানীয় রাখাইনদের বসতির জায়গা, কৃষিজমি, পুকুর ও শ্মশানের অনেকটাই দখল হয়ে গেছে। এবং লোভের শিকার হয়ে বিহারের অনেক জায়গাই হারিয়ে গেছে। এখনও চলছে দখল প্রক্রিয়া। এ ছাড়া জমি দখলের সঙ্গে সঙ্গে দ্রæত কমছে এ স¤প্রদায়ের জনসংখ্যা। এ স¤প্রদায়ের লোকজন আশঙ্কা করছে, এভাবে চললে এ অঞ্চল থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে তারা। বাংলাদেশে ধর্মান্ধ ধর্মের নামে মুসলমান সর্বস্ব রাজনীতি কেন?

হিন্দুবৌদ্ধদের ভাঙাগড়া মুসলমান রাজনীতির হাতে কেন? রামুর মুসলমান ফেইসবুকে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিলে ও রামুর মুসলমান নেতাদের বিচার হলো না কেন? বাংলাদেশের ইতিহাসে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী বিলুপ্ত হওয়ার পথে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে ইসলামীক ষড়যন্ত্রের যাঁতাকলে মৌলবাদীরা ফেক আইডি বানিয়ে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বৌদ্ধবিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করেছে ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ভয়াল কালো রাতে! এবার মুন্সিগঞ্জের নাটেশ্বরে পাওয়া গেছে পিরামিড আকৃতির বৌদ্ধবিহার PAGODA (বৌদ্ধ দেউলা)! যেমটি রয়েছে কুমিল্লা, নাটোর, কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতে। তবে এটি দেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ নিদর্শন হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট প্রত্নতান্ত্রিকগণ। প্রাচীন সভ্যতা থেকে যুগের পরিবর্তন এবং ইসলামীক আগ্রাসনে বিলুপ্ত হতে চলছে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী। ধর্মান্ধ ইসলামি রাজনীতির কোরান অবমাননার গুজব! ধর্মের অবমাননার অপরাধে সংখ্যালঘু বিদ্বেসী বই সংখ্যালঘুকে নিশ্চিহ্ন করেছে! ইসলামি জঙ্গীরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত হয়ে ২০১৯ সালে ভেদ, বিসম্বাদ পূর্ণ, হিংসায় ভরপুর ও পঙ্কিল চিটিংবাজ ধর্মান্ধ রাজাকার, আলবদবরের রচিত ইসলাম ধর্মের পাঠ্য বইতে (Class Five) বলছে “অমুসলিমরা’ মিথ্যাবাদী’, ‘লোভী’, ‘পশুর অধম! ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে!

বহুজন হিতায় বহুজন সুখায় বাংলাদেশের ইতিহাসে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী বিলুপ্ত হতে চলছে! ১৯৭৫সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর গায়ে ১৮টি গুলি লেগেছিল কেন? বাংলাদেশের ইতিহাসে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী বিলুপ্ত হওয়ার পথে জেনারেল জিয়াউর রহমান সরকার ষড়যন্ত্রের সাহায্যে সমতল জেলা থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ (১১ লক্ষ) বাঙালি মুসলমান সেটেলার পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি অঞ্চলে নিয়ে আসে! বাংলাদেশের সংবিধানে এবং আইনের শাসনে এক দেশে ধর্মান্ধ চিটিংবাজের দু’টি আইন চলতে পারে না। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরই একাত্তরের পরাজিত শক্তি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সাহায্যে সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে। তারই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার চেতনার নেতৃত্ব সমূলে বিনাশ করার লক্ষ্যে জেলের ভেতর হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী চার জাতীয় নেতাকে। এর পরিণামে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র এবং জাতীয়তাবাদের যে চেতনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, স্বাধীন দেশে সে অর্জন থেকে দিনে দিনে আমরা পিছিয়ে যাই। একাত্তরের ঘাতক আলবদর, আলশামস, রাজাকাররা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার পর্যন্ত হতে পারে। তবে দেরিতে হলেও বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জেগে উঠেছে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচারহীনতার দায় থেকে বেরিয়ে এসেছে দেশ।

ইতিহাসের জানালায় হিংসা ও লোভের নাম ধর্ম নয়! বাংলাদেশে দিন বদলের যে মডেল বা প্যারাডাইমে দেশদ্রোহী ধর্মান্ধদের মুসলমান রাজনীতির (B.C.S. Text Book in 2017) পরধর্মবিদ্বেষের ভাইরাস মানবাধিকার বিরোধী! নানা সংকটে বৌদ্ধ রাখাইনরা বিলীন হওয়ার শঙ্কায়….বিলুপ্ত হওয়ার পথে! বৌদ্ধ পালরাজাগণ বাংলাদেশে চারশত বছর রাজত্ব করেছিলেন এবং কানাডার মতো বাংলাদেশের আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন কি? জয় বাংলার বৌদ্ধ মহানগর এবং বিক্রমশীলা বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় বিক্রমপূরের মুন্সিগঞ্জে নাটেশ্বর গ্রামে মাটির নিচে লুকানো কেন? বৌদ্ধ বাংলাদেশ মুসলমান রাষ্ট্র হয়ে অতীশ দীপঙ্করের বিক্রমপূর মুন্সীগঞ্জ হয়েছে! গৌতমবুদ্ধের মহাশান্তি মহাপ্রেম কে নিয়ে লেখা বাংলা ভাষার প্রথম বইয়ের নাম বৌদ্ধ চর্যাপদ!

“রাখাইনদের সংকট দেখতে স¤প্রতি ঢাকা থেকে এক দল নাগরিক প্রতিনিধি কুয়াকাটা পরিদর্শনে যান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা প্রমুখ। দলটি কলাপাড়ার শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার, রাখাইন পাড়া, শ্মশান এবং পবিত্র পুকুর পরিদর্শন করে। সমকালের এই প্রতিবেদকও ছিলেন তাদের সঙ্গে। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ মন্দিরটির দক্ষিণ পাশে স্থাপন করা হয়েছে বেড়িবাঁধ। বৌদ্ধ মন্দিরের জায়গাতেই নির্মাণ করা হয়েছে বাঁধটি। এ ছাড়া মন্দিরের পূর্ব পাশে ৩ শতাংশ জায়গায় একটি বহুবর্ষী বটগাছ এবং সেই গাছকে ঘিরে রয়েছে রাখাইন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি চৈত্য। এখানে রাখাইনরা পূজা-অর্চনা করে থাকেন। সেই গাছ সংলগ্ন স্থানে কুয়াকাটা প্রেস ক্লাব ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

রাখাইনদের অভিযোগ, সেই জায়গাটি দেখাশোনার জন্য ইউসুফ খলিফা নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে দোকান নির্মাণ করে ভাড়াও প্রদান করেছিল বিহার কর্তৃপক্ষ। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সেই ব্যক্তির নামে উচ্ছেদ নোটিশ জারি করে পাউবো। এ ছাড়া বাঁধটি নির্মাণের সময়ও বৌদ্ধবিহারটির জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তাদের। বিহারের উপাধ্যক্ষ ও বিহার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্র বংশ ভিক্ষু বলেন, ১৭৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারকে ১৯৪৩ সালে ব্রিটিশ সরকার ২ একর ৪৪ শতাংশ করমুক্ত জমি দান করে। এই বিহার হলো সীমা বিহার (যেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দীক্ষা দেওয়া হয়)। এই বিহার বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের জন্য খুবই প্রয়োজন। পটুয়াখালী জেলার মধ্যে কেউ বৌদ্ধ ভিক্ষু হতে চাইলে এটিই একমাত্র বিহার।

তিনি বলেন, এই বিহার নির্মাণের জন্য প্রয়োজন খাজনামুক্ত ভ‚মি। এই ভ‚মিতে অন্য কোনো স্থাপনা ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী করা যাবে না। এমনকি এই বিহারের আশপাশে বড় কোনো গাছপালাও রাখা যাবে না। গাছের শিকড়ও সেখানে প্রবেশ করবে না। এভাবেই আমরা বসবাস করে আসছি। পরে বিহারের একবারে পাশ দিয়ে বেড়িবাঁধ হয়েছে। এখন পাউবো বলছে, তারা আরও ৩৫ ফুট জায়গা পাবে। এই জায়গা চলে গেলে বিহারের অর্ধেকই থাকবে না। বিহারের উপাধ্যক্ষ বলেন, স্বাধীনতার পর জরিপে মাত্র ৬৫ শতাংশ জায়গা বিহারের নামে দেওয়া হয়। বাকি জায়গা পাউবো দখল করে নিয়েছে। বিহারের সঙ্গে কোনো আলাপ না করে, কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়ে এ জায়গা তারা দখল করে নিয়েছে। ২০০৭ সালে সিডরে বৌদ্ধবিহারের দেয়াল ভেঙে যায়। এ দেয়াল সংস্কার করতে গেলে পাউবো বাধা দেয়। তারা কীভাবে আমাদের জায়গা নিল, সেটা আমরা বুঝতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, বিহারের পাশে একটা জায়গা নাকি কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবকে লিজ দেওয়া হবে। এজন্য তারা গাছের ডাল কেটে কার্যক্রম শুরুও করেছিল। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানালে তিনি ওই জায়গা পরিদর্শন করে সেখানে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করতে নিষেধ করেন। কিন্তু পাউবো কিছুদিন কাজ বন্ধ রাখার পর আবার নির্মাণকাজ শুরু করেছে। তারা নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দীন বিপ্লব বলেন, বহু বছর ধরে আমরা পাউবোর একটি জায়গায় প্রেস ক্লাব স্থাপন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমরা তাদের কাছে নতুন প্রেস ক্লাব স্থাপনের জন্য জায়গা লিজ চেয়েছি। তারা আমাদের এই জায়গাটিই বরাদ্দ দিয়েছে। তবে আমরা সাংবাদিকরা সবসময় রাখাইন আদিবাসীদের পক্ষে ছিলাম এবং থাকব। তাদের জায়গা দখল করে আমরা প্রেস ক্লাব নির্মাণ করতে যাব না।

তবে এখানকার পাউবোতে সদ্য যোগদান করা নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ বিন ওয়ালিদ বলেন, প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে জায়গাটি লিজ নেওয়ার জন্য তাদের কাছে টাকা জমা দিয়েছে। আমি বুঝতে পারছি না, আমার পূর্ববর্তী অফিসার কীভাবে এই বিরোধপূর্ণ জায়গা লিজ দিতে চেয়েছেন? তিনি বলেন, এসব বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো ধরনের নতুন চুক্তিতে যাচ্ছি না। জায়গাটি এখন যেভাবে আছে, সেভাবে থাকবে। রাখাইনদের অভিযোগ, অংকুজানপাড়ার শশ্মানভ‚মিতে দাহ করার আগে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য সাময়িকভাবে শবদেহ রাখার স্থানটি মো. ইউনুস নামে এক ব্যক্তি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি উল্টো হামলার হুমকি দেন।

চট্টগ্রাম দেয়াঙ পাহাড়ে বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দশন! স¤প্রতি দেয়াঙ পাহাড়ে মহাকালের বিবর্তনের ধারায় চট্টগ্রাম পণ্ডিত বিহার বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আবিষ্কার করেছেন একদল প্রতœতত্ত¡ বিভাগের গবেষক। দক্ষিন এশিয়ার যাদুঘরসমূহ, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল, আফগানিস্তানের বামিয়ান পর্বতমালা, পাকিস্তানের ডায়ামার ভাসা বাঁধ, রাজশাহীর পাহাড়পুর এবং নরসিংদীর উয়ারী বটেশ্বরে আবিস্কৃত হলো লক্ষ লক্ষ বুদ্ধমূর্তি। দেয়াঙ পাহাড়ে পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার পূর্বে পরৈকোড়ার গ্রামে রয়েছে আকাশ ছোয়া একক প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। স্থানীয়রা মগা বিহার বলে জানেন। প্রতœতাত্তি¡ক গবেষণায় হয়তো এই বিহার থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টির সূত্র বেরিয়ে আসতে পারে । হয়ত বা এই বিহার হতে পারে পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের টার্নিং পয়েন্ট।

দেশদ্রোহী ধর্মান্ধদের বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধদের মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন! বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধদের বাদ দিয়ে মৌলবাদীরা বাংলা ভাষার প্রথম বই চর্যাপদে মনের অহং কে জয় করা মানে কনকোয়েষ্ট অব হ্যাপীনেস হার্ভার্ডে সাইকোলজি পড়ান, স্টাম্বলিং অন হ্যাপিনেস নামে একটা বই লিখেছিলেন! বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গৌতমবুদ্ধের দেশকে নিজের মাতৃভ‚মি বলেছেন তাঁর কবিতায় এবং প্রবন্ধে। সন্ত্রাসী তুর্কি মুসলিম বখতিয়ার খিলজি চারশত বছরের বৌদ্ধ পাল রাজত্ব, TEN BUDDHIST UNIVERSITIES INCLUDING NALANDA BUDDHIST বিশ্ববিদ্যালয় ও বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অমূল্য স্বাধীনতার দ্বার ভেঙ্গে দিয়েছিল। বাংলাদেশে মুসলমান না হলে কি বাংলাদেশের আদর্শবান নাগরিক হওয়া যায় না?

ধর্ম বিশ্বাসের কারনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সালের মধ্যে পাহাড়ীদের বেঁচে থাকার অধিকার ধ্বংস করতে জেনারেল জিয়াউর রহমান সরকার সমতল জেলা থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ (১১ লক্ষ) বাঙালি মুসলমান সেটেলার পাহাড়ি অঞ্চলেনিয়ে আসে, যেখানে আদিবাসী জুম্ম জাতি কয়েক শতাব্দী ধরে বসবাস করছে এই সেটেলাররা আদিবাসীদের ব্যাপক ভ‚মি অবৈধভাবে দখল করে চলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্ত বিষয়েই ঘুরে ফিরে সেই চিটিংবাজ ধর্মান্ধ জিহাদের ধর্মের সুড়সুড়ির শেষ কোথায়? মুসলিম রাজনীতির ভীতির কবলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে পাহাড়ীদের মনুষ্যত্ব কেড়ে নিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ীদের ভিটে-মটিতে পাঁচ লক্ষ মুসলমান সেটেলার! মুসলমান সেটেলাররা এবং জঙ্গিরা পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের ব্যাপক ভ‚মি অবৈধভাবে দখল করে চলেছে। বাংলাদেশের সংবিধানে হিন্দুবৌদ্ধ দের ভাঙাগড়া মুসলমান রাজনীতির হাতে বলে কোন শব্দ নেই। এবং বৌদ্ধ বাংলাদেশ মুসলমান রাষ্ট্র হয়ে অতীশ দীপঙ্করের বিক্রমপূর মুন্সীগঞ্জ হয়েছে!

মুসলমান সেটেলার কর্তৃক হামলা ও ভ‚মি বেদখল! ২০২৩ সালের জানুয়ারি হতে জুন মাস পর্যন্ত ১১৩টি ঘটনার মধ্যে সা¤প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠী, মুসলিম বাঙালি সেটেলার ও ভ‚মিদস্যু কর্তৃক ১২টি ঘটনা সংঘটিত হয়েছে এবং এতে ১৮টি পরিবার ও ১৩০ জন জুম্ম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে। তার মধ্যে ২ জনকে হত্যা, একজনকে মারধর, ২ জন জুম্ম গ্রামবাসীর ভ‚মি জবরদখল এবং ১৮টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। যৌন হয়রানি, সহিংসতা, ধর্ষণ ও হত্যা ১ ২০২৩ সালের জানুয়ারি হতে জুন মাস পর্যন্ত ১১৩টি ঘটনার মধ্যে রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় পক্ষ কর্তৃক জুম্ম নারী ও শিশুর উপর ১২টি সহিংস ঘটনা সংঘটিত হয়েছে এবং এতে ১১ জন নারী মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে। তার মধ্যে একজনকে হত্যা, ৬ জন নারী ও শিশুকে ধর্ষণ, ৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা এবং ২ জন নারী ও শিশুকে অপহরণ ও পাচারের চেষ্টার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

বৌদ্ধ বাংলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে ইসলামীক আগ্রাসন কেন? বৌদ্ধ বাংলায় নতুন যুগের সূচনা পালরাজগণের হাত ধরেই। পালরাজগণ চারশো বছর শাসন করেছেন এ বাংলা। শুধু তো বাংলা নয়, বৃহৎ বঙ্গের সীমানা ছিল আরো বিশাল, আসমুদ্রহিমাচল। বৃহৎ বঙ্গের এই উত্থান বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায়ের একটি। এত বিশাল রাজ্যের সূচনা যার হাত ধরে, শশাঙ্ক পরবর্তী ক্ষত-বিক্ষত বাংলার ঘুরে দাঁড়ানোর এ অধ্যায়ের শুরু যার নেতৃত্বে, তিনি হলেন পালবংশের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট গোপালদেব। গোপাল (পাল) (৭৫০-৭৭০)! BANGLADESH OF THE BUDDHISTS , BY THE BUDDHISTS , FOR THE BUDDHISTS IN 750 A. D.

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত নটীর পূজা ও চন্ডালিকায় গৌতমবুদ্ধ নারী জাতির পরম মঙ্গলময় হলো, লেখক হুমায়ুন আহমেদ ‘রাবনের দেশে আমি ও আমরা’) এবং লেখক গোলাম মুস্তাফা, এবং লেখকগণ বৌদ্ধ বিদ্বেসী বই লিখেছেন। আফগানিস্থাণের বামিয়ান বুদ্ধমূর্তিকে নিয়ে মুসলমান রাজনীতির ভয় কেন? মোহাম্মদ বিন কাশিম এবং মুসলমানদের রাজনীতি বৌদ্ধদের হাত থেকে বৌদ্ধ দেশ এবং আফগানিস্তানের বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি কেড়ে নিল! বাংলাদেশে রাজনীতি কোরআন নিয়ে হিন্দুদের, ধর্মে হস্তক্ষেপ করেছে’ গত ১৩।১০।২০২১ ইং তারিখে! কুমিল্লায় কোরান অবমাননার রাজনীতি গুজব ছড়িয়ে হিন্দুদের উপর চলছে ভয়াবহ সা¤প্রতিক হামলা। কোরআন নিয়ে রামুর বৌদ্ধ বিহার ও কুমিল্লা দূর্গাপূজায় ধ্বংসযজ্ঞ এই বিষয়টার মধ্যে যে সা¤প্রদায়িক বিদ্বেষের মশলা আছে তা জনমানসের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সংক্রমিত!

বিক্রমপূরের বজ্রযোগীনির রাজপুত্র ছিলেন অতীশ দীপংকর। আজ বাংলাদেশে তাঁর (অতীশ দীপঙ্করের) জন্মস্থানে “অতীশ দীপংকর বিশ্ববিদ্যালয়” এবং আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ তীর্থস্থান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এলাকার মুরুব্বী জ্যোতিময় চাকমা বলেন- “দেশে যদি বৌদ্ধ বিহারের ভ‚মি সুরক্ষিত না হয় তবে আমাদের ভ‚মির সুরক্ষার নিশ্চয়তা কোথায়? আমরা রামুর ট্রাজেডি দেখেছি কিন্তু অপরাধীদের বিচার দেখিনি। রাষ্ট্রের এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি বারবার অপরাধীদের সাহস দেয়। যদি অপরাধীদের বিচার হতো বারবার এমন ঘটনা ঘটতো না। শুধু বৌদ্ধ বিহারের ভ‚মি বেদখল নয়, আমাদের ধর্মীয় গুরুদেরও নিরাপত্তা নেই। খাগড়াছড়ির গ্রামে বৌদ্ধ স্মৃতি বৌদ্ধগণকে যেমনি আনন্দিত করতে পারে তেমনি হতাশায় নিমজ্জিত করতে পারে। প্রচন্ডভাবে হতাশায় নিমজ্জিত বৌদ্ধগণ ডিপ্রেশনে ভুগছে! এখন মানুষ বুঝতে পারে আসলেই এই দুনিয়ায় বেঁচে থাকাটা কতোটা কষ্টকর। পাহাড়ের আদিবাসী স¤প্রদায়ের লোকেরা এমনিতে অত্যাচার, নিপীড়ন, নির্যাতনের শিকার। একদিকে সা¤প্রদায়িক আক্রমন, অন্যদিকে স্বজাতি কর্তৃক নিপীড়িত ও বিতাড়ন। এত অত্যাচারিত হওয়ার পরে ও জম্ম জম্মান্তরে কল্পনা করেনি, নিজের জমিকে সেটেলারদের নিকট দেওয়ার জন্য আঞ্চলিক দলের লোকেরা নির্দেশ দিবে?

সেই উগ্র মুসলমান রাজনীতি কেমন করে ভুলে গেলেন যে, একদা রাশি রাশি বৌদ্ধ ধর্মস্থান ধ্বংস করে আফগানিস্থান Bangladesh, India, Indonesia, Malayasia এবং পাকিস্তানের বৌদ্ধ ভ‚মি দখল করে নিয়েছে! মুসলমান রাজনীতির গভীর চক্রান্ত ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বখতিয়ার খিলজির মুসলিম সাম্রাজ্যবাদ এবং এবং পূজনীয় বুদ্ধকে! বাংলাদেশের বিক্রমপূরের বজ্রযোগীনি (কালী বা তারা দেবী বোধিসত্ত¡) গ্রামের অতীশ দীপংকর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মের প্রতিনিধি এবং বঙ্গরত্ন অতীশ দীপংকরের বিশ্ববিজয়ী স্মৃতি বাংলাদেশের সর্বকালের আলোকিত সারস্বত সমাজ প্রতিষ্ঠার উৎস এবং ‘চর্যাপদ’ বাংলা ভাষার প্রথম এবং এবং ২৫৬৭ বুদ্ধাব্দই আজকের বঙ্গাব্দ। বাংলা ব্যাকরণের সাথে পালি, থাই, বার্মা, কম্বোডিয়া, লাওস ও শ্রীলংকার ব্যাকরণের সাদৃশ্য বিদ্যমান! এই সব কথা কি করে আমি আপনাদেরকে সবিস্তারে বর্ণনা করবো?

বৌদ্ধধর্মে মনের অহং কে জয় করা মানে কনকোয়েষ্ট অব এবং হ্যাপীনেস বাংলা ভাষার প্রথম বই চর্যাপদে! বৌদ্ধগণ কি অমানবিক পলিটিক্যাল ইসলাম ধর্মের গোলাম? মুসলমান লেখকদের আক্রমণের শিকার বৌদ্ধধর্ম কেন? ধর্মের নামে মুসলমান সর্বস্ব রাজনীতি! সম্রাট অশোকের শিলালিপি পালি ভাষায় পালি (ব্রাহ্মী) অক্ষরে লেখা আছে এবং উক্ত ব্রাহ্মী লিপি (বর্ণমালা) থেকে বাংলা, হিন্দী, সংস্কৃত, থাই বর্ণমালা সহ ৩৫টি ভাষায় বর্ণমালার উৎপত্তি। বাংলা ব্যাকরণের সাথে পালি, থাই, বার্মা, কম্বোডিয়া, লাওস ও শ্রীলংকার ব্যাকরণের সাদৃশ্য বিদ্যমান! সেই উগ্র মুসলমান রাজনীতি কেমন করে ভুলে গেলেন যে, একদা রাশি রাশি বৌদ্ধ ধর্মস্থান ধ্বংস করে আফগানিস্থান এবং পাকিস্তানের বৌদ্ধ ভ‚মি দখল করে নিয়েছে! মুসলমান রাজনীতির গভীর চক্রান্ত ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বখতিয়ার খিলজির মুসলিম সাম্রাজ্যবাদ!

বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি