সোনা কান্তি বড়ুয়া : বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানরষ স্বাধীনতা পায়নি! বাংলাদেশে রাজনীতির ইসলামীকরণ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের স্বাধীনতাকে গ্রাস করে ফেলেছে। ‘জামায়াতী এজেন্ট থেকে কওমি শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার আহ্বান’ (যুগান্তর ডেস্ক, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১)! অভিশপ্ত চিটিংবাজ ধর্মান্ধ মুসলমান মৌলবাদী গোষ্ঠী জোরপূর্বক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করেছে! গাজীপুর জেলার অন্তর্গত সিমলা কান্দি এলাকার কড্ডা বাজার শফি উদ্দিন মোল্লা পাবলিক স্কুলের গণিত বিভাগের শিক্ষক মোঃ নাজমুল খান পিতা গোলাম নবী খান জোরপূর্বক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা, ইসলাম ধর্মের বই পড়ানো এবং গোমাংস ভক্ষণ এর উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। ওই এলাকার হিন্দু জনগোষ্ঠী এর তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি দিচ্ছেন। পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র আবির বর্মণের (১২) পিতা রাজিব বর্মন এক অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ কমিশনার গাজীপুর মহোদয়ের নিকট অভিযোগ করে বলেন ওই স্কুলের শিক্ষক পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির হিন্দু ধর্মের ছেলে মেয়েদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে ইসলাম ধর্মের বই পড়া এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য বাধ্য করেছেন। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে প্রতিবাদ করলে বিষয়টি জানাজানি না করার জন্য প্রধান শিক্ষক সবাইকে অনুরোধ করেন কিন্তু ছেলে মেয়েদের অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে সন্তুষ্ট না হওয়ায় দেশের প্রচলিত আইনে বিচার চেয়েছেন।
বাঙালি এনলাইটেনমেন্ট যুগে জনৈক জনপ্রিয় কবির ভাষায়, “বিশ্বমানব হবি যদি শাশ্বত বাঙালি হও, সম্পূর্ণ বাঙালি হও।” বাংলাদেশে মানব জাতির হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই চিটিংবাজ ধর্মান্ধ মুসলমান মৌলবাদী গোষ্ঠীর হিংসা উন্মত্ত অভিশপ্ত রাজনীতির ইসলাম ধর্ম! হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চিটিংবাজ মুসলমান মৌলবাদী গোষ্ঠী অভিশপ্ত সা¤প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে! মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই কি বাংলাদেশে ধর্মান্ধ মুসলমানদের বিভাজনের ধর্ম? বাংলাদেশের জন্ম লগন থেকে আমরা ইসলামের অপব্যবহার দেখেছি রাজাকারদের পাশবিক আচরন! ধর্মান্ধ মুসলমানদের হিংসা উন্মত্ত অভিশপ্ত ধর্ম বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করেছে ! ইসলাম ধর্মে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের অবিশ্বাস! হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের ধর্মে মুসলমানদের অবিশ্বাস!

মুসলমান মৌলবাদী গোষ্ঠী জোরপূর্বক মুসলমানদের ধর্মের জন্য বাংলাদেশে অন্যায় ন্যায় হল, সত্য হল অসত্য, অসত্য হল সত্য, অধর্ম যুদ্ধ হল ধর্ম যুদ্ধ! তাই ধর্মান্ধের হিংসা উন্মত্ত রাজনৈতিক ধর্ম মানবতাকে ধ্বংস করেছে! প্রীতি ও প্রেমের পুন্য বাঁধনে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের মানবতায় সকল ধর্মের প্রতি নিরপেক্ষ থাকা রাষ্ট্রশক্তির বাঞ্ছনীয়! বা ষ্টেট ট্রিটস অল রিলিজিয়নস উইদ আউট ফিয়ার (ভয়) এন্ড ফেভার (আসক্তি বা ভালো লাগার কারনে)। ধর্ম কে অপব্যবহার করে মানুষ পশু হয়েছে বার বার অনেকবার। সংবিধান সমস্ত নাগরিকের রক্ষা করবে এটা সংবিধানে রয়েছে কিন্তু শাসক বা রক্ষক যদি এই ধরনের কার্যকলাপ ব্যস্ত থাকে তাহলে মানুষ বা জনগণ কোথায় যাবে? প্রীতি ও প্রেমের পুন্য বাঁধনে মনুষ্যত্বের প্রজাতন্ত্রীক নিদর্শন সংবিধান বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং ওই এলেকার মুক্তি যোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আঃ কঃ মঃ মজাম্মেল হককে মোবাইলের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করানো হয়, তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশান্বিত করেছেন। এহেন ধর্মান্তর করনের অপচেষ্টা এবং ছাত্রীদের শ্লীলতাহানিকরন প্রক্রিয়া আইনের আওতায় এনে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানাচ্ছে। এলাকার হিন্দু জনগণ এহেন অত্যাচারের প্রতিকারের জন্য ঢাকা শহরে বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ এর অফিসে এসে কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে এই বিচার দাবি করেছেন। সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে সর্বস্তরের মানুষের ভূমিকা প্রয়োজন।

উল্লেখ করা যায় যে, পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসক ও থানায় অভিযোগ দায়ের করার হিন্দু অধীর চন্দ্র বর্মন গত ২৬/০৭/২০২২ তারিখে গণিত ক্লাস নেওয়ার সময় আনুমানিক ১২ ঘটিকার সময় ক্লাসের গণিত শিক্ষক জনাব নাজমুল খান (৩২) তাহার মেয়েকে বিভিন্ন রকম অশ্লীল কথাবার্তা বলেন এবং বিভিন্ন সময়ে অসময়ে এককভাবে ক্লাসে ঢুকেই নানারকম কুরুচিপূর্ণ কথা বলে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হাত দে এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তার মেয়েকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আহ্বান জানান। এছাড়া গরুর গোস্ত খাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেন তাৎক্ষণিকভাবে বিষয় কি অধীর চন্দ্র বর্মন শোনান পরপর শিক্ষকের নিকট জানালে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান কিন্তু তিনি আরো বলেন বিষয়টি কারো নিকট আলোচনা করার জন্য অনুরোধ করেন কিন্তু এই পর্যন্ত কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে!
এছাড়াও গত ২৬/০৭/২০২২ তারিখে গণিত শিক্ষক মো; নাজমুল খান শফিউদ্দিন মোল্লা পাবলিক বিদ্যালয়ের একটি সপ্তম শ্রেণীর হিন্দু ছাত্রী ঋতু রানি বর্মণকে (১২) তার শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দিয়া শ্লীলতাহানি করেছে। ঋতু রানি বর্মণের পিতা অধীর চন্দ্র বর্মণ উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বাসন থানায় নারী শিশু আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করলে বাসন থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ নাজমুল খানকে গ্রেফতার করে।

আওয়ামী লীগের নতুন ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হবে অঙ্গীকার পূরণ কতটা হলো?
সা¤প্রদায়িক সহিংস ঘটনার লাগাম টানতে ‘জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন’ গঠন করাসহ বেশ কিছু দাবি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন দেশের সংখ্যালঘু নেতারা। মানবাধিকারকর্মীরাও সেসব দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। জোরাল এসব দাবির সমর্থনে গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারেও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনসহ প্রায় সব কটি দাবিই পূরণের অঙ্গীকার করেছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে সরকারের শেষ মেয়াদে এসেও সেই প্রতিশ্রুতির কোনো বাস্তবায়ন নেই। এ প্রেক্ষাপটে প্রতিশ্রুতি পূরণে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংখ্যালঘু নেতাদের কেউ কেউ।

১৯৭১ সালে পিস কমিটির ইচ্ছানুযায়ী বিবাহযোগ্য নব মুসলিম কন্যাদের একটি অংশ পিস কমিটির চিটিংবাজ মৌলবাদী গোষ্ঠী অনুগত যুবকদের বাড়ীতে তুলে দেবার ব্যবস্থা করা হয় (মুনতাসীর মামুন, রাজাকারের মন, পৃষ্ঠা ৯১)।” Buddhist Monk ড. বরসম্বোধি ভিক্ষু লেখা, “এ পর্যন্ত পৃথিবীতে “আল্লাহ বষ ঈশ্বরের অন্তিত্ব নিয়ে অনেক গবেষণা ও লেখালেখি হয়েছে। ঈশ্বর বিশ্বাসী তথাকথিত ধর্মগুরুগণ এখনও ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে না পারলেও কিন্তু আল্লাহ বষ ঈশ্বরের মহিমা কীর্তন করে রচনা করেছে অনেক সাহিত্য। অপরদিকে আল্লাহ বা ঈশ্বর ধারণার বিষয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণাও নিরন্তর জারী রয়েছে। একদল বিজ্ঞানী স¤প্রতি এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় সত্য খোলাসা করেছেন। যা ভারতীয় মিডিয়া অইচ নিউজ চেনেলে প্রচারিত হয়েছে। সুইজারল্যাণ্ডের জেনেভায় বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র স¤প্রতি ইহা খোলাসা করেছে যে, দুনিয়া কোন আল্লাহ বা ঈশ্বরের দ্বারা সৃষ্টি হয়নি। দুনিয়া নির্মাণের পেছনে আল্লাহ বষ ঈশ্বরের কোন হাত নেই। বরং কবার্ট লেবোনেন নামের কণার দ্বারা দুনিয়া নির্মিত হয়েছে। যার কারণে ব্রহ্মাণ্ড অর্থাৎ দুনিয়া নির্মিত বা সৃষ্টি হয়েছে। দুনিয়া নির্মাণকারী এ কণার গবেষণাকে বিজ্ঞান জগতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গবেষণা বলে অভিহিত করা হয়েছে।

এ অনুসন্ধান ১৯৮০ সাল হতে শুরু হয়েছে, যেখানে পৃথিবীর অনেক দেশের বৈজ্ঞানিকের দল কার্যরত ছিলেন। সেখানে ভারতেরও বালদেব রাজ ডাবর নামে এক বৈজ্ঞানিকও সামিল ছিলেন এবং মহাবৈজ্ঞানিক হীগ বোসনও যুক্ত থেকে কাজ করেছেন। তাঁরা এ পরীক্ষণ দু’বার করেছেন এবং ফল একইরূপ এসেছে। এতে তাঁরা সিদ্ধ করেছেন যে, কবার্ট লেবোনেন নামের কণার এক প্রচণ্ড শক্তি হতে পৃথিবী, জল, হাওয়া, সূর্য, চাঁদ, গাছ-পালা স্বয়ং নির্মিত হয়েছে। ইহার পেছনে কোন ঈশ্বরের করিশ্মা বা চমৎকার নাই।

বৈজ্ঞানিকগণ ইহাও বলেছেন যে, আজ হতে আড়াই হাজার বছর পূর্বে পৃথিবী যখন অন্ধকারে ছিল, তখন তথাগত বুদ্ধই দৃঢ় কণ্ঠে বলেছিলেন যে, এ সংসার ও দুনিয়াকে পরিচালনা করার জন্য অদৃশ্যভাবে কেহ কাজ করছে না। দুনিয়া হল স্বয়ং সঞ্চালিত। ইহাকে চালানোর কেহ নাই। কিন্তু বুদ্ধের বৈজ্ঞানিক গবেষণার শব্দকে দাবাতে পৃথিবীর সকল ধর্মই প্রাণপণ চেষ্টা করেছে। তারা বুদ্ধকে এবং তাঁর গবেষণা প্রসূত শিক্ষাকে চাপা দিয়ে কাল্পনিক ঈশ্বর ও ঈশ্বরীয় রাজ্যকে জনসাধারণের উপর স্থাপন করেছেন। কেবল তা নয় বৌদ্ধ সাহিত্যেও তাঁরা সেরকম অনেক কাল্পনিক বিষয়ের অবতারণা করেছেন। তথাগত গৌতম বুদ্ধ এ বিষয়ে বর্ণনা করেছেন যে, প্রত্যেকের শরীর চার তত্ব বা ধাতুতে তৈরী হয়েছে এবং চেতনার কারণে আমরা জীবিত রয়েছি। কোন ঈশ্বরের কারণে নয়।”

বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ উত্ত থানার অফিসার ইনচার্জ কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তার সত্যতা স্বীকার করেন এবং তিনি বলেন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়ার মানসে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে অফিসার ইনচার্জ মামলাটি রেকর্ড করে মামলা নাম্বার ১৫ তারিখ ১৪/০৮/২০২২ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ১০ ধারা অনুসারে মামলা করেছেন। কিন্তু উক্ত মামলা দায়ের করার পর আসামি পক্ষ হিন্দু বাদিদেরকে উক্ত এলেকা ছারার নির্দেশ দেয়েছেন, অন্যথায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিবেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। কওমি মাদ্রাসায় ইদানীং জামায়াত-শিবিরের অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, দেশের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কওমি মাদ্রাসাগুলোতে ইদানীং জামায়াত-শিবির অনুপ্রবেশ করেছে। এর ফলে কওমি মাদ্রাসায় কিছু উগ্র সা¤প্রদায়িক বক্তার আবির্ভাব ঘটেছে। তাদের বক্তব্যে ন্যূনতম শিষ্টাচার থাকে না। তারা মূলত জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। বিহারী ও রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বাংলাদেশে জনঅরণ্যের নরদেহধারী বাঙালি মুসলমান মৌলবাদী গোষ্ঠী মানুষের কি মা বোন নেই?

২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, সংখ্যালগুদের বিষয়ে বিশেষ কমিশন গঠনের যে দাবি উঠেছে, তা আমার একার বিষয় নয়। এ নিয়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনা করবো। এরপর ২০২১ সালের ২৩ অক্টোবর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শিগগিরই সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হবে। তবে এর দুদিন পর, ২৫ অক্টোবর আইনমন্ত্রী বলেন, এ আইনের প্রয়োজন নেই। সংবিধানেই তাদের সুরক্ষার বিধান আছে। তবে সাক্ষী সুরক্ষা আইন হবে। সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের বিচার হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে। এমন বক্তব্য প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সরকারের ‘আন্তরিকতার অভাব ও গড়িমসি’ হিসেবে দেখছে সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের সংগঠনগুলো।
এ প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কথা বলা এবং পেছনের দিকে ফিরে আসার মধ্যে তো সরকারের আন্তরিকতার অভাব দেখছি।
প্রতিশ্রুতিগুলো যদি বাস্তবায়িত না হয় তাহলে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী মনে করবে তারা আবার প্রতারিত হয়ে গেছে। কিন্তু গণতন্ত্রের স্বার্থে, রাজনীতির স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের স্বার্থে তাদের মধ্যে এই ভাবনাটা অনুপ্রবিষ্ট করা ঠিক হবে না। আওয়ামী লীগের ওপর আমরা আর আস্থা রাখতে পারছি না। কোনো রাজনৈতিক দল বা নেতার ওপরও আস্থা রাখতে পারছি না। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আমরা আমাদের আস্থাটা রাখতে চাই। এই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই আমাদের ভরসার জায়গা।
নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে ঐক্য পরিষদের কর্মসূচি: সংখ্যালঘু সুরক্ষায় সরকারে প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নে চলতি বছরের মার্চ মাসে আড়াই লাখ নাগরিকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে স্বারকলিপি আকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। ১৬ জুলাই সারাদেশে একই দাবিতে পালিত হয়েছে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। ২২ অক্টোবর সারাদেশে একই দাবিতে সকাল সন্ধ্যা অনশন পালন করবে সংগঠনটি। এছাড়া সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকার অভিমুখে রোডমার্চ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জমায়েত হয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরপরও যদি দাবি বাস্তবায়িত না হয় সারাদেশে আমরণ অনশনের ঘোষণা করেছে ঐক্য পরিষদ।

কমিশন গঠনসহ সংখ্যালঘু সুরক্ষায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রসঙ্গে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, ডিসেম্বর মাসে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে নতুন ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র তৈরি করা হবে। সেই ঘোষণা পত্রে নিশ্চয়ই বিষয়টি প্রতিফলিত হবে। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত বিধানে যে ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা ঘোষণা পত্রে থাকবে। সরকারের এই মেয়াদেই তা বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা- সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন ঘোষণাপত্র আসছে।

আগামী নির্বাচনের আগেই তা সম্ভব হবে বলে আশা করছি!
ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায়, তাঁর সরকারের উদ্যোগে শিক্ষকদের প্রস্তাব মতে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ্যসূচিতে উল্লেখযোগ্যভাবে স্থান করে নিতে পারলেও মৌলবাদী, সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠীর ছোবল থেকে মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির সুরক্ষায় বাধা কোনো অংশে কম নয়। সে জন্য বেশি করে চোখ-কান খোলা রাখা অনস্বীকার্য। শিক্ষায় নারীর অগ্রযাত্রা নজর কাড়লেও কর্মমুখী শিক্ষা ও শিক্ষার উচ্চস্তরে নারীর অগ্রযাত্রা নিশ্চিতকরণে অনেক কিছু করার আছে। এ কথা স্পষ্ট, মুক্তিযুদ্ধের পথ ধরে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে। তবে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো অপরিহার্য। ওইসিডি পরিচালিত প্রোগ্রাম ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন ব্যবস্থা যুক্ত করা!

বাংলাদেশে রাজনীতির ইসলামীকরণ পার্বত্য বাংলাদেশেকে গ্রাস করে ফেলেছে। নিজ বাসভূমেই পরবাসী করে দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামেকে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের রাজনীতি জুম্ম জনগণের জাতীয় পরিচিতি একেবারে বিলুপ্ত করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম সামরিকায়ন জোরদার করেছে! ”টালত মোর ঘর নাঁহি পড়বেসী। হাড়ীতে ভাত নাঁহি নিতি আবেশী।“ এর মানে, নিজ টিলার উপর আমার ঘর। প্রতিবেশী নেই। হাঁড়িতে ভাত নাই, অথচ নিত্য ক্ষুধিত।” মর্মভেদী শতবর্ষের আলোকে বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫) জাতির জনক এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি (২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে ১১ জানুয়ারি ১৯৭২)। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপতি হত্যাকান্ডের পর, বাঙালি হত্যাযজ্ঞই কি বাংলাদেশে পাকিস্তানী ইসলাম? এবং কয়েকটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলে জামায়াতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

জুম্ম জনগণের জাতীয় পরিচিতি একেবারে বিলুপ্ত করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম সামরিকায়ন জোরদার করেছে ! বিগত ২৩ বছরেও পার্বত্য সমস্যার কাক্সিক্ষত সমাধান হওয়া তো দূরের কথা, সমস্যা আরও জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছে। মৌলবাদী ও জুম্ম বিদ্বেষী কিছু ইসলামী গোষ্ঠী কর্তৃক সুপরিকল্পিতভাবে জুম্মদেরকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার কার্যক্রম জোরদার হয়েছে। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরিবর্তে সরকার পূর্ববর্তী শাসকদের মতো দমন-পীড়নের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে বিগত ২৩ বছরেও পার্বত্য সমস্যার কাক্সিক্ষত সমাধান হওয়া তো দূরের কথা, সমস্যা আরও জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছে। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি অনেকটা চুক্তি-পূর্ব অবস্থায় পদার্পণ করেছে। পূর্বের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকারও একদিকে ইসলামীকরণ নীতি বাস্তবায়ন করে চলেছে এবং অপরদিকে জুম্ম জনগণের জাতীয় পরিচিতি একেবারে বিলুপ্ত করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম সামরিকায়ন জোরদার করেছে।

বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The Author’s World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!