সোনা কান্তি বড়ুয়া : বৌদ্ধগণকে নৃশংসভাবে নিশ্চিহ্ন করতে ১১৯২ সালে রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী বিশ্বাসঘাতক হলায়ুধ মিশ্র হিন্দু রাষ্ট্রধর্মের নেতা হয়ে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ করষর পটভ‚মিকায় ‘শেখ শুভোদয়া’ শীর্ষক বই লিখেছিলেন । তিনি তাঁর (হলায়ুধ মিশ্র) রচিত দিনলিপির (ডায়েরী) উক্ত বইতে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ করতে মুসলিম তুর্কী মিশনের যোদ্ধাদের সাথে মহামন্ত্রীর হলায়ুধ মিশ্র’র গোপন ষড়যন্ত্র এবং রাজা লক্ষণ সেনকে সরিয়ে বখতিয়ার খিলজিকে বাংলার সিংহাসন আরোহনের নীলনক্সার পুঞ্জীভ‚ত লোমহর্ষকর বাস্তব ঘটনাবলী অকপটে ‘শেখ শুভোদয়া’ শীর্ষক বই রচনা করে স্বীকার করলেন। ১২০২ সালে রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী হলায়ুধ মিশ্রæর বিশ্বাসঘাতকতায় বখতিয়ার খিলজি বাংলা জয় করে বৌদ্ধ বাংলাকে মুসলমান বাংলা করে ছিলেন!

নালন্দা বৌদ্ধ মহাবিহার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিশ্বনেতাদের কি জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? জি- ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লিতে আসা বিশ্বনেতাদের গত ৯ সেপ্টেম্বর (২০২৩) শনিবার কনফারেন্স হলে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁদের স্বাগত জানানোর ব্যাকড্রপে ছিল একটি ঐতিহ্যবাহী গুরুত্বপূর্ণ ছবি। আর সেই গৌরবজনক ছবিটি ছিল নালন্দা মহাবিহারের, যা প্রবুদ্ধ ভারতের ইতিহাসে একটি গৌরবময় স্থান। পঞ্চম শতাব্দী থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত এই নালন্দা মহাবিহারের গৌরবের সময়। ভারতের নালন্দা বৌদ্ধ মহাবিহার হলো বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। অত্যাধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার শ্রষ্ঠতম নির্দশন ছিল এই নালন্দা। মহামতি বুদ্ধের পরবর্তী সময়ে বৌদ্ধ ভারতের জ্ঞানের চর্চার সাক্ষী বৌদ্ধ বাংলার ৯টি বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় সহ এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। বৌদ্ধ বাংলার ৯টি বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্ব বিখ্যাত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে ত্রয়দশ শতাব্দীতে হিন্দুরাজনীতি এবং তূর্কিশাসক সন্ত্রাসী বক্তিয়ার খিলজী ধ্বংস করেছিলেন। আটশত বছর পর চীন ও জাপানের দুই বিলিয়ন ডলার এবং ভারত সরকারের সাহায্যে দুইহাজার আঠারো সালের সেপ্টেম্বর মাসে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শোল্জকে নরেন্দ্র মোদী নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য, এর সূচনা ও ধ্বংস করার বিষয়ে ধারণা প্রদান করেন ও এর মাধ্যমে প্রাচীন ভারতের গৌরবময় দিনের স্মরণ করেন। মুক্ত চিন্তা, জাতি বৈচিত্র, রাষ্ট্র পরিচালনার স্বচ্ছতা- এ সবই গণতন্ত্রের মূলনীতি। নালন্দায় সে সবের উপস্থিতি বুঝিয়ে দেয় কেমন ছিল ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা। চীন জাপান মেধ্য এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দশ হাজার শিক্ষার্থী এখানে শিক্ষা গ্রহণ করতো। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিল বিশ্বের প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। উল্লেখ্য ভারতে ব্রাহ্মণ্যবাদী আক্রমণের পর ১২শতকের দিকে তুর্কি আক্রমণকারী উগ্রবাদী ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি লুটপাট করে, আগুনে পুড়িয়ে ও তলোয়ার শাবলের আঘাতে জ্ঞানের আঁধার নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করে দেয়!

গৌতমবুদ্ধের দেশ এবং সম্রাট অশোকের বৌদ্ধ সাম্রাজ্য ভারত হিন্দুরাজনীতির দেশ হল কি করে? বৌদ্ধধর্মকে হিন্দুধর্ম করতে পুষ্যমিত্র শুঙ্গ বৌদ্ধ সম্রাট বৃহদ্রথ কে হত্যা করেছে (১৮৫ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে)! বৌদ্ধধর্মকে হিন্দুধর্ম করতে ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুরাজনীতির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ কেন? বৌদ্ধ সম্রাট বৃহদ্রথের প্রধান সেনাপতি হিন্দু ব্রাহ্মণ্ পুষ্যমিত্র শুঙ্গ বৌদ্ধ সম্রাট বৃহদ্রথ কে হত্যা করেছে! ভারতে সম্রাট অশোকের মৃত্যুর (300 B. C.) পর সেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ভারতের মাটিতে বৌদ্ধ রাষ্ঠ্রদ্রোহী। বাণভট্ট রচিত হর্ষচরিত গ্রন্থানুসারে, ১৮৫ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে মৌর্য্য রাজবংশের বৌদ্ধ নবম সম্রাট বৃহদ্রথের (5th Generation of Emperor Asoka) প্রধান সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ মৌর্য্য সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজে সাম্রাজ্যের MILITARY শক্তি প্রদর্শনের সময় তাকে হত্যা করে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের পতন ঘটান ও শুঙ্গ রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ করে চলেছে। গৌতমবুদ্ধকে হিন্দুর নবম অবতার করতে এবং বৌদ্ধধর্মকে নিশ্চিহ্ন করে হিন্দুধর্মকে মহিমান্বিত করতে ভারতের সংবিধান বিরোধী হিন্দুরাজনীতির “বুদ্ধগয়া টেম্পল অ্যাক্ট ১৯৪৯” কেন? গৌতমবুদ্ধের ধ্যানভ‚মি বুদ্ধগয়া কে ভারতের সংবিধান বিরোধী হিন্দুরাজনীতি ও আজ দখল করে আছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা কি শুধু মুসলমানদের ইসলাম ধর্মের জন্য? একাত্তররের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র এবং বাংলাদেশের হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খৃষ্ঠানদের জন্য সমান সুযোগ! একাত্তররের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাস যৌথভাবে গত বছর এ গণকমিশন গঠন করেছিল। গণকমিশনের সভাপতি বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সভাপতিত্বে সভায় বলা হয়, দুই খণ্ডে প্রকাশিতব্য এই শ্বেতপত্রে জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন জঙ্গি মৌলবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের বহুমাত্রিক কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি এ বিষয়ে সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করা হবে। এছাড়াও জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, সা¤প্রদায়িকতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের নির্বাচিত কলাম, সংবাদ ও ছবি প্রকাশ করা হবে।

চারশত বছরের (৮ম শতাব্দী থেকে ১১ শতাব্দী) বৌদ্ধ পাল রাজত্ব তুর্কী দখলদার বখতিয়ার খিলজি বৌদ্ধ বাংলা দখল করল কেন? রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী বিশ্বাসঘাতক হলায়ুধ মিশ্র এবং বখতিয়ার খিলজির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন! ৭১পরাজিত শক্তিই হিংস্র জীব-জানোয়ারের চেয়েও ভয়ঙ্কর মানুষরূপী কোন জীব। বাংলাদেশের অপাপবিদ্ধ শান্তিকামী বৌদ্ধদের ধর্মীয় অনুভ‚তিতে চরম আঘাত করতে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে সংঘটিত কক্সবাজারের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশ ঘটানো ও ধর্মীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে নাগরিক উদ্যোগ জোরদার করা দরকার!

সা¤প্রদায়িক বিদ্বেষ মনোভাবে এক প্রজন্মকে বড় করা হচ্ছে, তার ফল একদিন রাষ্ট্রকে ভোগ করতে হবে: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবিতে) ছাত্র সমাবেশে অশোক সাহা (By Hill Voice – সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩) ১ হিল ভয়েস, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে ৬১তম শিক্ষা দিবস উপলক্ষে “বিজ্ঞানভিত্তিক, অসা¤প্রদায়িক ও আদিবাসীবান্ধব শিক্ষানীতি প্রণয়ন কর” এই ¯েøাগানকে নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ছাত্র সমাবেশ ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সভায় প্রধান আলোচক সাবেক ছাত্রনেতা ও অধ্যাপক অশোক সাহা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অশোক সাহা বলেন, বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলের নামগুলোকে মৌলবাদী নামে নামকরণ করা হচ্ছে। জাতীয় বাজেটে আদিবাসীদের নির্দিষ্ট করে কোনো বাজেট থাকে না। পাহাড়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নানা সংকটের কারণে পাহাড়ী শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে অর্ধেকের ও বেশি ঝরে যাচ্ছে।” আজ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে উক্ত ছাত্র সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় আরও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি প্রত্যয় নাফাক, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অন্বেষ চাকমা প্রমুখ।

আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নরেশ চাকমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অন্তর চাকমার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন চবি সংসদের দপ্তর সম্পাদক ইফাজ উদ্দীন আহমদ ইমু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অশোক সাহা বলেন, “বর্তমানে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শেষ করেও শিক্ষার আসল ব্যঞ্জন কি তা বুঝতে পারে না। শিক্ষা এমনভাবে গ্রহণ করা উচিত যা শিখব সেটি জীবনে কাজে লাগানো যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোতে যে সা¤প্রদায়িকতার চর্চা করা হয় তা কাম্য নয়।”

তিনি আরো বলেন, “সা¤প্রদায়িক বিদ্বেষ মনোভাব তৈরির মাধ্যমে এক প্রজন্মকে বড় করা হচ্ছে, তার ফল একদিন রাষ্ট্রকে ভোগ করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা ক্ষয়তায় বসে যা ইচ্ছে করে যাচ্ছেন। আমাদের সর্বদা সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে থাকতে হবে।”

প্রত্যয় নাফাক বলেন, “শিক্ষা আমাদের মৌলিক অধিকার এবং তা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব সরকারের হলেও সরকার এখনো সেটি সুনিশ্চিত করতে পারেনি । দেশের স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তকগুলোতে সা¤প্রদায়িকতা ধারার পাঠ্যসূচি চালু করার প্রবণতা বাড়ছে।”

অন্বেষ চাকমা বলেন, “শিক্ষা মৌলিক অধিকার হলেও শিক্ষাকে প্রতিনিয়ত বাণিজ্যকরণ করার ফলে যথাযথ শিক্ষা পাওয়া থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে এমন এলাকা আছে স্কুল আছে, ছাত্র আছে কিন্তু শিক্ষক নেই। রাঙ্গামাটি শহরের সবচেয়ে প্রাচীন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজে পর্যন্ত একটি বিভাগ চলে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে। পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষক সংকট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।”
আলোচনা সভা শেষে মিছিল সহকারে শহীদ মিনারে গিয়ে মহান শহীদ দিবসের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

ছাত্র সমাবেশ থেকে নিম্নোক্ত দাবিসমূহ উত্থাপন করা হয়:-
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি:-
১. শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি কর।
২. শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন কর।
৩. অবিলম্বে শাটল ট্রেনে বগি ও শিডিউল বৃদ্ধি কর।
৪. চবি মেডিকেলে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জামসহ পর্যাপ্ত মেডিসিন নিশ্চিত কর।
সরকারের প্রতি:-
১. উচ্চশিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের জন্য ৫% কোটা নিশ্চিত কর।
২. সর্বজনীন ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষানীতি প্রণয়ন কর।
৩. পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট নিরসন কর।
৪. আদিবাসীদের স্ব স্ব মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত কর।
৫. পাঠ্যপুস্তকে সা¤প্রদায়িকীকরণ বন্ধ কর।

ধর্মান্ধ জঙ্গী মুসলমান বাংলাদেশী বৌদ্ধ সংস্কৃতি বৌদ্ধ বিহারে আগুন দিয়ে মর্মান্তিক ধ্বংসযজ্ঞ করছে সেই ভয়াল কালো রাতে ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১২ সেই সময় রাতের আঁধারে ভীত সন্ত্রস্থ বড়ুয়া বৌদ্ধগণ বনে জঙ্গলে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছিলেন। “প্রত্যেকেরই জীবনধারণের স্বাধীনতা ও ব্যক্তি নিরাপত্তার অধিকার ISLAM, HINDUISM AND বৌদ্ধধর্মে বিরাজমান। বাংলাদেশে রাষ্ঠ্রধর্মের ট্রাজেডি- আমাদের ঘরে এবং বৌদ্ধ বিহারে আগুন দিয়ে ধর্মান্ধ জঙ্গী মুসলমানদের কি লাভ হয়েছে? দুঃখের স্মৃতির জন্যে দেশের বৌদ্ধ বসতির মানুষের আজ ও ঘুম হয় না। আমার তো বুক এখনও টনটন করে মুক্তিযুদ্ধের ৪১ বছর পর; সেই ভয়াল কালো রাতে ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে ২৫ হাজার জঙ্গী রামুসহ দেশের বিভিন্ন বৌদ্ধ বসতিতে আগুন দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞের মর্মান্তিক রোমহর্ষক ঘটনার জন্যে। বৌদ্ধ বিহার এবং বৌদ্ধ জনপদের ধ্বংসচিত্র স্থানীয় জনতা নিজের চোখে দেখেছেন। সেই সময় রাতের আঁধারে ভীত সন্ত্রস্থ বড়ুয়া বৌদ্ধগণ বনে জঙ্গলে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছিলেন। শংখ ঘোষের ভাষায় অন্ধ হিন্দু ও মুসলমান সা¤প্রদায়িকতার কথা আমরা পেয়ে যাই তাঁর কবিতায়: “সমস্ত মাঠের বিন্দু আমারই ধর্মের ধান বোনা।”

রামুর বৌদ্ধপল্লী ট্র্যাজেডির ১ ১বছর! কোরাণের নামে বাংলাদেশে আক্রমণের শিকার বৌদ্ধ গ্রাম ও বৌদ্ধধর্ম কেন? স¤প্রতি হিজরত জঙ্গিদের ভয়ঙ্কর ষড়য়ন্ত্র পার্বত্য চট্টগ্রামকে ইসলামি পার্বত্য চট্টগ্রাম বানষতে (প্রথম আলো, ২৭ নভেম্বর ২০২২)। পার্বত্য চট্টগ্রামে চিটিংবাজ ধর্মান্ধ রাজনীতির জাল-জালিয়াতি প্রত্যহ ব্যাপকতর, প্রকটতর এবং নির্লজ্জতর! ইচ্ছাশক্তির নবউত্থান ঘটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। গত ২৬ নভেম্বর ২০২২-এ প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনার সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের বৈঠকের বিষয় নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স¤প্রতি জঙ্গিরা দেশে যে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বৈঠকে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামে আপনারা দেখেছেন, একটি দলকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। (প্রথম আলো, ২৭ নভেম্বর ২০২২)। হিজরতের নামে (হরকাতুল জিহাদ, জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (েেজএমবি), আনসার আল ইসলামের কিছু সদস্য মিলে) ২০১৭ সালে নতুন করে এই উগ্রবাদী সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। চিটিংবাজ ধর্মান্ধ এই সংগঠনটি মূলত তরুণদের দলের সদস্য হিসেবে সংগ্রহ করে এবং জিহাদের কথা বলে চরাঞ্চলে ও সীমান্তবর্তী পাহাড়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল।

গোটা রামজন্মভ‚মির আন্দোলনটাই হিন্দুরাজনীতির বকওয়াসের রাজনীতি। ভারতীয় টিভি চ্যানেলে বাঙালি বৌদ্ধ বীর বিজয় সিংহের শ্রীলঙ্কা জয় দেখানো হয়নি কেন? বৌদ্ধ বিহার ভেঙ্গে গড়ে তোলা হয়েছে পুরীর হিন্দু মন্দির”, সেই চেপে রাখা ইতিহাসের সামান্য তুলে ধরা হলো হিন্দু ধর্ম কি ভাবে বৌদ্ধধর্মকে ধ্বংস করে! গৌতমবুদ্ধের দশরথ জাতকে রামজন্মভ‚মির ইতিহাস! হিন্দুরাজনীতি রাম কাহিনি নিয়ে মুসলমানদের বাবরি মসজিদ কেড়ে নিল! ব্রাহ্মণ্যবাদের জঘন্য চাতুরীর ইতিহাস লিখতে গেলে একটি মহাভারত লিখতে হয়। বৌদ্ধধর্মকে ধ্বংস করার নাম বৈদিক হিন্দুধর্ম!

বৌদ্ধ জাতকই রামায়ন ও মহাভারতের উৎস! বৌদ্ধ জাতকে হিন্দুরাজনীতির রামায়ন! হিন্দুপন্ডিতগণ দশরথ জাতককে (জাতক নম্বর : ৪৬১) বদলায়ে রামায়ণ রচনা করার পর উক্ত রামায়নের অযোধ্যা কান্ডের বত্রিশ নম্বর শ্লোকে গৌতমবুদ্ধকে চোর (Hate Crime of Hinduism) এবং বৌদ্ধদেরকে নাস্তিক বানিয়েছে। গৌতমবুদ্ধ তাঁর ভিক্ষুসংঘকে উপদেশ প্রসঙ্গে দশরথ জাতক (রামায়ন) সমাধান করতে গিয়ে বলেছেন, “তখন (পূর্ব জন্মে) শুদ্ধোধন রাজা ছিলেন দশরথ মহারাজা, মহামায়া ছিলেন সে মাতা, রাহুলমাতা (গোপা) ছিলেন রাজকুমারী সীতা, আনন্দ ছিলেন রাজপুত্র ভরত, সারীপুত্র ছিলেন রাজপুত্র লক্ষন, বুদ্ধ পরিষদ সে পরিষদ, আমি (বুদ্ধ) ছিলাম সে রাম পন্ডিত (দশরথ জাতক নম্বর ৪৬১, জাতক অট্টকথা, পালি টেক্সট সোসাইটি, লন্ডন)। বৌদ্ধ বিহার ভেঙ্গে গড়ে তোলা হয়েছে পুরীর মন্দির”! বৌদ্ধধর্মকে ধ্বংস করার নাম বৈদিক হিন্দুধর্ম! হিন্দুশাসকগণ রাশি রাশি বৌদ্ধমন্দির ধ্বংস করে হিন্দু মন্দির করেছে (Aanandabazar Patrika dated 23 August 1993!)

হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধগণকে নৃশংসভাবে নিশ্চিহ্ন করতে বখতিয়ার খিলজিকে নিয়ে বৌদ্ধ বাংলাকে মুসলমান বাংলা করে ছিলেন ! অহিংসায় সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান! সকল ধর্মের বিশ্বমৈত্রীতে বিদ্বেষটাই ধর্মান্ধদের অধর্ম! বৌদ্ধ বাংলায় হিন্দু-মুসলমান রাজনীতির রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস কেন? ব্রাহ্মণ্য ধর্মের এবং সন্ত্রাসী তুর্কি ইসলাম (বখতিয়ার খিলজি) ধর্মের সঙ্গে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় বৌদ্ধ মুক্তিযুদ্ধে রামাই পন্ডিতের রচিত “শূন্য পুরান” শীর্ষক বইয়ের উৎপত্তি (16th century)। ১২০২ সালে রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী হলায়ুধ মিশ্র বিশ্বাসঘাতকতায় বখতিয়ার খিলজির বাংলা জয় করেছিলেন! রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী বিশ্বাসঘাতক হলায়ুধ মিশ্র এবং বখতিয়ার খিলজির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন! রাতারাতি ইতিহাস তৈরী হয় না। এমনকি রাজা লক্ষন সেনের সভাকবি উমাপতি ধর পরে বখতিয়ার খিলজির সভাকবি হলেন কেন? ইহাই বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্মের ট্রাজেডি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে বাংলার বৌদ্ধগণ ইসলাম ধর্ম কবুল করেছিলেন।

প্রত্মতাত্বিক, ভ‚তাত্বিক, পুরাতত্ত¡, নৃতত্ব ও ভাষাতত্বের আলোকে চর্যাপদের বৌদ্ধ বাংলায় বাংলাভাষা পালিভাষার বিবর্তিত রূপ এবং পালরাজত্বকালে (720 A. D. TO 1135 A. D.) বৌদ্ধদের অবদানে চর্যাপদের বঙ্গাব্দ ছিল ২৫৬৭ বঙ্গাব্দ (১৪৩০ নয়)। হিন্দুরাজনীতি গৌতমবুদ্ধকে হিন্দু ধর্মের অবতার GOD করে বৌদ্ধধর্মকে দখলে নেন। বৌদ্ধধর্মকে নিশ্চিহ্ন করতে হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ না করে বা বৌদ্ধ ধর্মালম্বী না হয়ে গৌতমবুদ্ধকে হিন্দু ধর্মের অবতার GOD করে বৌদ্ধধর্মকে হিন্দুধর্ম বানিয়ে গোলে মালে আধুনিক সমাজের চোখে ধূলো দিচ্ছেন! এবং ইসলাম ধর্মের নামে বঙ্গাব্দ কে নিয়ে হিন্দুরাজনীতি বঙ্গাব্দের (১৪৩০) বাংলা পঞ্জিকা রচনায় হিজরি সালকে (১৪৪৫) ভাড়া করে এনে সূর্য্য ক্যালেন্ডারের দোহাই দিয়ে বাঙালি মুসলমানদের চোখে ধোকা দেয়!

নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন ঢাকার বাংলা একাডেমির একুশের বইমেলার (২১ ফেব্র“য়ারী ২০১১) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে তাঁর ভাষনে চর্যাপদের (৪৯ নম্বর কবিতার মিথ্যা ব্যাখ্যা করেন) বাঙালি কবি ভুসুকুপাদকে অপমানিত করেন এবং বুদ্ধাব্দকে বাদ দিয়ে ইসলামিক হিজরি (১৪৩৭) সালকে হিন্দুত্বকরনে বঙ্গাব্দের (১৪২৩) মিথ্যা ইতিহাস বর্ণনা করেন ( ‘সাপ্তাহিক আজকালে পৃষ্ঠা ১৩, ফেব্র“য়ারী ৪, ২০১১ (সাল, টরন্টো)’ নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন, বাংলা একাডেমীর অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে “ভাষা চেতনা বাঙালির গর্বের বিষয়” শীর্ষক ভাষণে বলেন, “অনেকেই মাঝে মধ্যেই প্রশ্ন করে যে ১৪০০ সাল হলো কী ভাবে। এখন ১৪১৭ তে কী ভাবে এলো, ১৪১৭ হচ্ছে মক্কা থেকে মদীনায় মোহাম্মদের (সা.) যাওয়ার দিন থেকে গণনার স্মারক। প্রথম দিকে লুনার এবং তারপরে সোলার ক্যালেন্ডার এই দুটি মিলিয়ে করা।

বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মকে মহিমান্বিত করতে রামুর মুসলমান হয়ে মুসলমান ফেইসবুকে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিল কেন? ২০১২ সালের ২৯ ও মধ্যরাতে ৩০ সেপ্টেম্বর রামুতে বৌদ্ধদের বৌদ্ধ বিহার ভষ্মীভ‚ত করা বৌদ্ধ বিহার ধ্বংস যজ্ঞকেন? বাংলাদেশে ধর্মান্ধ মুসলমান রাজনীতি হিন্দু বৌদ্ধ নির্যাতন! দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে অনুসন্ধান টিমের অপর দুই সদস্য হলেন কমিশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও মো. আহসানুল কবীর পলাশ। গণকমিশন সূত্র জানায়, তারা নয় মাস তদন্ত করে ২ হাজার ২০০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র তৈরি করেন। তাতে বহু ভুক্তভোগীর স্বাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তদন্তে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। জঙ্গিবাদ ছড়াতে জামায়াত ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করে- এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের সন্ত্রাসী তৎপরতা ও দুর্নীতির তথ্য দুদকে জমা দেওয়া হয়েছে। শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা ১১৬ জনকে ওয়াজ ও ধর্ম ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানের ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ যারা এই গোষ্ঠীকে উস্কানি দিচ্ছেন শ্বেতপত্রে তাদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। (SAMAKAL, June 21, 2022)!

বাংলাদেশে ধর্মান্ধ মুসলমান রাজনীতি হিন্দু বৌদ্ধ নির্যাতন! কোরআন নিয়ে রামুর বৌদ্ধ বিহার ও কুমিল্লা দূর্গাপূজায় ধ্বংসযজ্ঞ! কোরআন নিয়ে রামুর বৌদ্ধ বিহার ও কুমিল্লা দূর্গাপূজায় ধ্বংসযজ্ঞ এই বিষয়টার মধ্যে যে সা¤প্রদায়িক বিদ্বেষের মশলা আছে তা জনমানসের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সংক্রমিত! কুমিল্লায় কোরান অবমাননার রাজনীতি গুজব ছড়িয়ে হিন্দুদের উপর চলছে ভয়াবহ সা¤প্রতিক হামলা। বাংলাদেশে রাজনীতি কোরআন নিয়ে হিন্দুদের ধর্মে হস্তক্ষেপ করেছে’ গত ১৩।১০।২০২১ ইং তারিখে! হিন্দুদের ওপর সা¤প্রদায়িক হামলা চালাচ্ছে! রামুর মুসলমান রচিত ধর্ম অবমাননায় ফেইসবুকে কোরাণের উপর পদচিহ্ন!

হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধরাজ্য জয়ের পর ভারতের শাসক হয়ে বিদেশি শাসকগণের সাথে ষড়যন্ত্র করেন। সম্রাট আকবর দিল্লীর সিংহাসনে বসে বঙ্গাব্দের নব সংস্করন প্রবর্তন করেন এবং উক্ত আইনের পরিনামফল আজকের ১৪১৮ বঙ্গাব্দই বাঙালি ইতিহাসের ট্রাজেডি কেন? বর্তমানে নয়া দিল্লিস্থ ভারতের রাষ্ঠ্রপতি ভবনের দরবার প্রাঙ্গনে এখন সুদীর্ঘ ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ বিরাজমান, যিনি ভারতের জনগন ও শাসকবৃন্দকে আশির্বাদ করছেন। এর পাশে আছে সম্রাট অশোক হল, এখানে ভারতীয মন্ত্রীরা শপথ নেন এবং বিদেশী রাষ্ঠ্রদূতগণ মাননীয় রাষ্ঠ্রপতির নিকট তাঁদের পরিচয় পত্র পেশ করেন।

আমাদের হাজার বছরের বৌদ্ধ বাংলা পূর্ব পাকিস্তান হলো এবং তুর্কি সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ছাপিয়ে সা¤প্রতিক সা¤প্রদায়িক হামলাও তার নিরিখে দেখার অবকাশ আছে। কথাশিল্পী শওকত আলীর লেখা “প্রদোষে প্রাকৃতজন” এবং “দুষ্কালের দিবানিশি” গ্রন্থদ্বয়ে দক্ষিন এশিয়ার হিন্দু এবং মুসলমান শাসকগণ কর্তৃক বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের রক্তাক্ত ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন, “তুর্কী আক্রমন অত্যাসন্ন। তবু বাংলার হিন্দু সামন্ত-মহাসামন্তদের বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ ও অত্যাচারের শেষ নেই। সেই অত্যাচার রুখে দাঁড়ায় কখনো অন্ত্যজেরা, কখনো বৌদ্ধেরা (“প্রদোষে প্রাকৃতজন” চধমব ৫০)!

আমাদের হাজার বছরের বৌদ্ধ বাংলা পূর্ব পাকিস্তান হলো এবং তুর্কি সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ছাপিয়ে সা¤প্রতিক সা¤প্রদায়িক হামলাও তার নিরিখে দেখার অবকাশ আছে। কথাশিল্পী শওকত আলীর লেখা “প্রদোষে প্রাকৃতজন” এবং “দুষ্কালের দিবানিশি” গ্রন্থদ্বয়ে দক্ষিন এশিয়ার হিন্দু এবং মুসলমান শাসকগণ কর্তৃক বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের রক্তাক্ত ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন, “তুর্কী আক্রমন অত্যাসন্ন। তবু বাংলার হিন্দু সামন্ত-মহাসামন্তদের বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ ও অত্যাচারের শেষ নেই। সেই অত্যাচার রুখে দাঁড়ায় কখনো অন্ত্যজেরা, কখনো বৌদ্ধেরা (“প্রদোষে প্রাকৃতজন” Page 50)!

বাংলাদেশের পূর্ববঙ্গ -পূর্ব পাকিস্তানের বহু হিন্দু ভদ্রলোক কিছু আত্মীয়স্বজনকে কলকাতায় পাঠিয়ে দিলেও বেশ কিছু বছর নিজেরা ভিটে ছাড়া হতে চাননি। বা বৃদ্ধ মা-বাবাকে ঠাঁইনাড়া করেননি। বা সম্পত্তি বিক্রিবাটা করেননি— এমন অজস্র কাহিনি আছে। ওদিক থেকে ব্যবসায়ী সাহা পরিবারগুলির অনেকেই বহু পরে এদিকে আসেন। নমঃশূদ্র-রাজবংশী চাষীরাও সহজে জমি ছাড়তে চাননি। দুই তরফেই অনেকদিন পর্যন্ত ধারণা ছিল, কিছু একটা সমঝোতা অচিরেই হয়ে যাবে, পূর্বাবস্থা ফিরে আসবে! দেশভাগের পর ফজলুল হক সাহেব যে বন্ধুবান্ধব ও আড্ডার টানে কলকাতায় ফের ঘুরতে এসেছিলেন, তার মধ্যে একটা ভরসার গল্পও ছিল।

বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি !