সোনা কান্তি বড়ুয়া : ভারতের স্বাধীনতা কি শুধু ব্রাহ্মণ্য হিন্দু সন্ত্রাসবাদের হিন্দু ধর্মের জন্য? ভারতের জাতীয় পতাকা ও এমবেøমে স্বাধীনতার প্রথম আলো বৌদ্ধধর্মের ধর্মচক্র প্রচারে বিশ্বজয়! সম্রাট অশোকের বৌদ্ধভারতে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হল ব্রাহ্মণ্য হিন্দু সন্ত্রাসবাদ। ভারতে বৌদ্ধদের ব্রাহ্মণ্য হিন্দু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। বৌদ্ধ ধর্মকে হিন্দু ধর্ম করতে বৌদ্ধ সম্রাট বৃহদ্রথের ব্রাহ্মণ সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ বৃহদ্রথকে হত্যা করেছিল! ব্রাহ্মণ্যবাদী প্রতারণার রাজনীতিতে বৌদ্ধ সম্রাটের ব্রাহ্মণ সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ মহামতি সম্রাট অশোকের বংশজ মৌর্য বংশের সর্বশেষ বৌদ্ধ সম্রাট বৃহদ্রথকে হত্যা করেছিল; এবং মগধের সিংহাসন অধিকার করে নিজেকে হিন্দু রাজা ঘোষিত করেছিলেন। এবং তাঁর নির্দেশে বৌদ্ধ ধর্মের মুল গ্রন্থ বৌদ্ধ ত্রিপিটককে নিশ্চিহ্ন করে হিন্দু ধর্মকে মহিমান্বিত করতে বৌদ্ধদের বুদ্ধগয়া কেড়ে নিয়ে ব্রাহ্মণ্যবাদী প্রতারণার রাজনীতিতে বৌদ্ধদের ভারত ভ‚মি ও দেশ (SOUTH ASIA) দখল করার নাম হিন্দুধর্ম! হিন্দু সন্ত্রাসবাদ হিন্দুরাজনীতি শিবলিঙ্গ দিয়ে বৌদ্ধদের বুদ্ধগয়া দখল করেছে। হিন্দু শাসক শশাঙ্ক, আদি শঙ্করাচার্য্য এবং কুমারিল ভট্ট ফতোয়া দিলেন,বৌদ্ধ মাত্রই বধ্য বা বৌদ্ধদেরকে হত্যা কর (পৃষ্ঠা ১২, দেশ, কলিকাতা, ৪ মে, ২০০১)।”

পুরীর রথ যাত্রার বৌদ্ধ সংস্কৃতিতে হিন্দু সন্ত্রাসবাদ বৌদ্ধদের পুরীর জগন্নাথ মহাবিহার কেড়ে নিয়ে গৌতমবুদ্ধকে হিন্দু পান্ডিতগণ জগন্নাথ বানিয়ে বুদ্ধ পুরাণ রচিত হলো! এবং ওড়িয়া ভাষায় মহাভারতের লেখক সারলা দাস প্রকাশ করলেন, “বউদ্ধ রুপেতে বিজে আছি জগন্নাথে।” ওড়িষার সাবেক মূখ্যমন্ত্রী বুদ্ধভক্ত জানকীবল্লভ পট্টুনায়কের ভাষায়, “বৌদ্ধদের প্রভাব রথযাত্রার উপর পড়েছে। বুদ্ধদেবেরমূর্তিকে রথে বসিয়ে নগর প্রদক্ষিন করার প্রথা চীন পরিব্রাজক ফাহিয়ানের সময় থেকে আছে।” বৌদ্ধ ঐতিহ্য ধর্মচক্র (অশোক চক্র) নিয়ে স্বাধীন ভারতের পতাকা এবং জাতীয় স্মারক সনদ (এম্বলেম) বিরাজমান। ভারতে ব্রাহ্মণ্য হিন্দু সন্ত্রাসবাদ বুদ্ধ গয়া দখল করার মতো ভারতে জৈন, মুসলমান, শিখ এবং খৃষ্ঠান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কোন হিন্দু সদস্য নেই। বৌদ্ধদের তিরুপতি বালাজী মন্দির এবং পুরীর জগন্নাথ মন্দির হিন্দু রাজনৈতিকগণ দখল করার পর গৌতমবুদ্ধকে হিন্দু রাজনীতির ভগবান বা অবতার বলে বৌদ্ধধর্মকে হিন্দু রাজনীতি তিলে তিলে কিডন্যাপ করেছেন। ভারতে ব্রাহ্মণ্য হিন্দু সন্ত্রাসবাদের হিন্দু মৌলবাদী সেনাবাহিনী বেঈমানের ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হয়ে সন্ন্যাসীর রুপ ধরে শত শত বছর পর্যন্ত ত্রিশূল দিয়ে সর্বত্র ভারতীয় বৌদ্ধগণকে হত্যা করেছে। পলিটিক্যাল হিন্দুধর্ম ভারতীয় বৌদ্ধগণের মানবাধিকার হরণ করেছে। হিন্দুরাজনীতি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বৌদ্ধ তিরুপতি মহাবিহার দখল করে হিন্দু মন্দিরে রুপান্তরিত করেছে এবং বুদ্ধ মূর্তিকে হিন্দুর ভগবান বেঙ্কটশ্বর বানিয়েছে। হিন্দুরাজনীতির দলিত হত্যা বন্ধ কর।

প্রতিটি ধর্মে আলাদা আলাদা কিতাব, আলাদা নবী, আলাদা মহামানব, আলাদা ঈশ্বর! এতে হিন্দু রাজনীতির আধিপত্যবাদের অসুবিধা কেন? কেন সকলকে হিন্দু রাজনীতির অবতার বানাতে হবে? বিচারের বানী নিরবে নিভৃতে কাঁদে! ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভারতে ১১৯২ সালে রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী বিশ্বাসঘাতক হলায়ুধ মিশ্র হিন্দু রাষ্ট্রধর্মের নেতা হয়ে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ করতে ব্রাহ্মণ্য হিন্দু সন্ত্রাসবাদের ‘শেখ শুভোদয়া’ শীর্ষক বই লিখেছিলেন। তিনি তাঁর রচিত দিনলিপির (ডায়েরী) উক্ত বইতে মুসলিম তুর্কী মিশনের যোদ্ধাদের সাথে মহামন্ত্রীর গোপন ষড়যন্ত্রে রাজা লক্ষণ সেনকে সরিয়ে বখতিয়ার খিলজিকে বাংলার সিংহাসন আরোহনের নীলনক্সার পুঞ্জীভ‚ত লোমহর্ষকর বাস্তব ঘটনাবলী অকপটে রচনা করে স্বীকার করলেন। ১২০২ সালে রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী হলায়ুধ মিশ্র বিশ্বাসঘাতকতায় বখতিয়ার খিলজির বাংলা জয়, – ভারতে ব্রাহ্মণ্য হিন্দু সন্ত্রাসবাদ এবং বখতিয়ার খিলজির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন! রামষই পন্ডিতের লেখা “শূন্য পুরান” শীর্ষক বই বলছে (16th Century), ভারতে ব্রাহ্মণ্য হিন্দু সন্ত্রাসবাদ, সন্ত্রাসী তুর্কি মুসলমান বখতিয়ার খিলজি ও মুসলমান শাসকগণ বৌদ্ধগণকে মুসলমান বানিয়েছিলেন! মহেঞ্জোদারো -হরপ্পায় বৌদ্ধধর্ম ও চর্যাপদে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ প্রসঙ্গ! ‘চার্টার অব রাইটস’ সবারই অধিকারকে রক্ষা করে। ধর্ম কি? একটি বৃহৎ প্রশ্ন বটে! লোভ দ্বেষ মোহসহ ষড়রিপুকে জয় করার নাম বৌদ্ধ‘ধর্ম!

হিন্দুরাজনীতির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে ((দেশ, ৪ মে ২০০১ কলিকাতা পৃষ্ঠা ১২) ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বাঙালি বৌদ্ধগণ by force মুসলমান হয়েছিলেন! ১৯৯৩ সালের ২২ আগষ্টের আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয়, “সেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা কেমন করিয়া ভুলিয়া গেলেন অসংখ্য বৌদ্ধ ধর্মস্থান ধ্বংস করিয়া একদিন গড়িয়া উঠিয়াছিল রাশি রাশি হিন্দু মন্দির।” ভারতে সম্রাট অশোক সা¤্রাজ্যের পূজনীয় বৌদ্ধধর্মকে হিন্দু রাজনীতি ধ্বংস করল কেন? হিন্দু জাতিভেদ প্রথায় মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই হিন্দু রাজনীতির সন্ত্রাসবাদের হিন্দু ধর্ম!

বুদ্ধভ‚মি ভারতে হিন্দুরাজনীতির হিন্দু সন্ত্রাসবাদ বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম তীর্থভ‚মি “বুদ্ধগয়াবিশ্ববৌদ্ধদের পবিত্রতম বুদ্ধগয়া মহাবোধি বিহার ম্যানেজম্যান্ট কমিটিতে জোর করে পাঁচজন হিন্দু মেম্বার দিয়ে হিন্দু শাসকগণ বুদ্ধগয়া দখল করে আছেন। ব্রাহ্মণ্যধর্মী বল্লাল সেন যখন বাংলার রাজা হলো, তখন সে বৌদ্ধধর্মীদের হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে ব্রাহ্মণ্য হিন্দু সন্ত্রাসবাদের হুলিয়া জারি করলো। বল্লাল সেনাবাহিনীকে হুকুম দিল, ওদের ( বৌদ্ধধর্মীদের ) পিছনে ধাওয়া করে হত্যা করো। (গুরুচাঁদচরিত ষষ্ঠ সংস্করণের ২৩৮ ও ২৩৯ পৃষ্ঠা দেখুন)। বৌদ্ধ ভারতে হিন্দু সন্ত্রাসবাদ আন্দোলনের উত্তাল ঢেউয়ের মাথায় বৌদ্ধবিশ্বের প্রার্থনার জায়গা বুদ্ধগয়ায় হিন্দু রাজনীতির শিবলিঙ্গ দুর্বৃত্তপনা কেন?

একদা হিন্দুধর্ম ত্যাগ করার পর সম্রাট অশোকের প্রার্থনা ছিল, “বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি।” পৃথিবীতে যতগুলি ধর্ম আছে তাহার প্রত্যেকটিতেই দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াইবার কথা জোর দিয়া বলা হইয়াছে। মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই হিন্দুরাষ্ট্র ও হিন্দুধর্মের জাতিভেদ প্রথা! হিন্দুরাষ্ট্র ও হিন্দুধর্মের জাতিভেদ প্রথায় মানবাধিকার নেই এ বং রাজা বল্লাল সেন বৌদ্ধধর্মীদের নমঃশূদ্র করতে হুলিয়া জারি করলো! ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুরাজনীতির প্রাচীন বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ! বৌদ্ধরা কিভাবে নমঃশূদ্র হলো? In 1235 A. D. ব্রাহ্মণ্যধর্মী বল্লাল সেন যখন বাংলার রাজা হলো, তখন সে বৌদ্ধধর্মীদের হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে হুলিয়া জারি করলো। বৌদ্ধরা তা মানলো না। শুরু হলো রাষ্ট্রশক্তির বলপ্রয়োগ ও অত্যাচার। অকথিত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, বৌদ্ধরা জলে জঙ্গলে (পূর্ববঙ্গে) পালালো।

ভারতে ব্রাহ্মণ্য হিন্দু সন্ত্রাসবাদের জন্যে বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন! কর্নাটকের রাজা বিজয় সেনের বাংলাদেশ দখল করাতে একাদশ শতাব্দীতে বৌদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো! হিন্দু রাজা শশাঙ্ক ৭ম শতাব্দীতে বুদ্ধগয়ায় মহাবোধি মন্দির দখল করে বোধিবৃক্ষ ধ্বংসসহ শত শত বৌদ্ধহত্যা যজ্ঞ করার ইতিহাস চীনা পরিব্রাজক বৌদ্ধভিক্ষু ইউয়েন সাং তাঁর ভ্রমন কাহিনীর ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করেছেন। ব্রাহ্মণ্য হিন্দু ধর্মের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতায় বৌদ্ধ চর্যাপদের উৎপত্তি এবং হিন্দুরাজনীতির বৌদ্ধধর্ম এবং “বুদ্ধগয়া দখল ট্রাজেডি! বুদ্ধগয়া ভবিষ্যৎ বৌদ্ধজাতির উন্নতির প্রেক্ষাপট, সেই পূত পবিত্র বুদ্ধের প্রেক্ষাপট অঙ্গনে শিবলিঙ্গের গর্ত পূজায় অত্যাচার করে নষ্ঠ করে বৌদ্ধদের ভবিষ্যতকেই ভষ্মীভ‚ত করা হচ্ছে, শুধু প্রতীকিভাবে নয়, আক্ষরিক অর্থে।

বৌদ্ধদের বুদ্ধগয়ায় হিন্দুরাজনীতির শিবলিঙ্গ কেন? বিশ্বশান্তির উৎস নিরুপণ করতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহাশয় জাতিসংঘের ভাষণে ঘোষণা করলেন, “ভারত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পূজনীয় বুদ্ধ দিয়েছে এবং পূজনীয় গৌতমবুদ্ধই (বুদ্ধের উপদেশ) বিশ্বশান্তির উৎস ও প্রার্থনা ছিল, “বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি – বুদ্ধ বন্দনা !যুদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে শুক্রবার নিজের ভাষণে তিনি এ কথা বলেন (27 September 2019 খবর এএনআই’র)।” জাতিসংঘে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বুদ্ধ বন্দনা কেন? আমার দেশ আমার পরম তীর্থভ‚মি এবং মানবাধিকারই সর্বকালের ধর্মের মূলমন্ত্র।

দেশ পত্রিকার মতে, “হিন্দু শাসক শশাঙ্ক, আদি শঙ্করাচার্য্য এবং কুমারিল ভট্ট ফতোয়া দিলেন, বৌদ্ধ মাত্রই বধ্য বা বৌদ্ধদেরকে হত্যা কর (পৃষ্ঠা ১২, দেশ, কলিকাতা, ৪ মে, ২০০১)! বিশ্ববৌদ্ধদের পবিত্রতম বুদ্ধগয়া মহাবোধি বিহার ম্যানেজম্যান্ট কমিটিতে জোর করে পাঁচজন হিন্দু মেম্বার দিয়ে হিন্দু শাসকগণ বুদ্ধগয়া দখল করে আছেন। হিন্দু রাজনীতির প্রাচীন বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের বৌদ্ধগণ by force মুসলমান হয়েছিলেন (দেশ, ৪ মে ২০০১ কলিকাতা পৃষ্ঠা ১২)

হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ না করে বা বৌদ্ধ ধর্মালম্বী না হয়ে পূজনীয় গৌতমবুদ্ধকে হিন্দুরাজনীতি নবম অবতার বানিয়ে বানিয়ে গোলে মালে আধুনিক সমাজের চোখে ধূলো দিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে ইহাও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে চীন সরকার বুদ্ধ জন্মভ‚মি লুম্বিনী সার্বিক উন্নয়ন প্রকল্পে তিন বিলিয়ন ডলার দান করেছেন। চীনের উক্ত মুক্ত হস্তের দান অবলোকনে ভারত সরকার সন্ত্রস্ত হয়ে পরেছেন।

বৌদ্ধদের বুদ্ধগয়া এবং মুসলমানদের বারাণসী জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুরাজনীতির শিবলিঙ্গ কেন? হিন্দুরাজনীতি শিবলিঙ্গ দিয়ে বৌদ্ধদের বুদ্ধগয়া দখল করেছে। প্রসঙ্গত: ভারতীয় ধর্মান্ধ হিন্দুপন্ডিতগণ হাজার বছর পুর্বে অহিংসা পরমধর্ম প্রচারক এবং মানবাধিকারের সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠাতা বেদ বিরোধী গৌতমবুদ্ধকে হিন্দুধর্মের জগন্নাথ বুদ্ধ পুরাণ শীর্ষক তিন হাজার পৃষ্ঠার বই লিখে উড়িষ্যায় রথ যাত্রা এবং পুরীর বৌদ্ধমন্দিরকে জগন্নাথ মন্দির নাম বদলিয়ে দখল করেছে। ধর্মান্ধ হিন্দুশাসকগণ কর্তৃক ভারতে বৌদ্ধধর্ম ধ্বংসের সচিত্র বই উৎকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মহাপন্ডিত বংশিধর মোহান্তি রচনা করেছেন।

হিন্দুরাজনীতি বুদ্ধের দেহকে দেখে কিন্তু বুদ্ধের উপদেশ মেনে চলে না এবং বুদ্ধের উপদেশ ছিল, “যে আমার দেহকে দেখে সে আমাকে দেখে না, যে আমার উপদেশ মেনে চলে সে আমাকে দেখে ও মেনে চলে। মানবাধিকার এবং আইনের শাসন অগ্রাহ্য করে POLITICAL HINDUISM & বৈদিক পন্থী হিন্দুরাজনীতির ভারত সরকার “বুদ্ধগয়া টেম্পল অ্যাক্ট ১৯৪৯” শীর্ষক বেআইনি হিন্দুমার্কা সনদ রচনা করে ২০১২ সালের ভারতের সুপ্রীম কোর্টের রায় নাকচ করে! মানুষের সকল মৌলিক অধিকার পরিপস্থী এবং মানবতা বিরোধী এক কালো আইনের নাম “বুদ্ধগয়া ম্যানেজম্যান্ট কমিটি।” ১৯৪৯ এর বুদ্ধগয়া টেম্পল ম্যানেজম্যান্ট অ্যাক্টে চারজন বৌদ্ধসদস্য, হিন্দু জেলা ম্যাজিষ্ঠ্রেট সহ চার হিন্দু সদস্য (৫ জন হিন্দু সদস্য), ম্যানেজম্যান্ট কমিটি নিয়ে বুদ্ধমূর্তির সম্মুখে শিবলিঙ্গ সরিয়ে বৌদ্ধ বাতাবরণ সৃষ্ঠির প্রয়াস ছিল।

চার্টার অব রাইটস’ সবারই অধিকারকে রক্ষা করে। দেশ পত্রিকার মতে, “হিন্দু শাসক শশাঙ্ক, আদি শঙ্করাচার্য্য এবং কুমারিল ভট্ট ফতোয়া দিলেন, বৌদ্ধ মাত্রই বধ্য বা বৌদ্ধদেরকে হত্যা কর (পৃষ্ঠা ১২, দেশ, কলিকাতা, ৪ মে, ২০০১)! বিশ্ববৌদ্ধদের পবিত্রতম বুদ্ধগয়া মহাবোধি বিহার ম্যানেজম্যান্ট কমিটিতে জোর করে পাঁচজন হিন্দু মেম্বার দিয়ে হিন্দু শাসকগণ বুদ্ধগয়া দখল করে আছেন। হিন্দু রাজনীতির প্রাচীন বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের বৌদ্ধগণ by force মুসলমান হয়েছিলেন (দেশ, ৪ মে ২০০১ কলিকাতা পৃষ্ঠা ১২) ধর্ম কি? একটি বৃহৎ প্রশ্ন বটে! লোভ দ্বেষ মোহ সহ ষড়রিপুকে জয় করার নাম বৌদ্ধধর্ম!

খৃষ্ঠপূর্ব ১৫০০ বছর পূর্বে ঋগে¦দের (প্রথম বেদ; ১/১০৫/৮ ও ১০/৩৩/২) মতে বৈদিক ধর্ম পন্থী আর্য্যদের রাজা ইন্দ্র মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পার প্রাগৈতিহাসিক বৌদ্ধধর্ম ধ্বংস করেন। প্রাগৈতিহাসিক বৌদ্ধদর্শনের বিভিন্ন প্রসঙ্গ বৈদিক সাহিত্যে বিরাজমান এবং প্রাচীন উপনিষদের বিভিন্ন উপদেশ বৌদ্ধধর্ম থেকে নকল করা হয়েছে বলে গৌতমবুদ্ধ ত্রিপিটকের (মধ্যম নিকায়ের ৭৫ নন্বর) মাগন্দিয় সূত্রে ব্যাখ্যা করেছেন। বৈদিক উপনিষদ সাহিত্যসহ বিভিন্ন পুরান কাহিনীতে বৌদ্ধধর্মকে নকল করে হিন্দুধর্ম করা হয়েছে ।

জাতিভেদ প্রথায় বিভেদ বিদ্বেষের নামই কি হিন্দুধর্ম। হিন্দুরাজনীতি ভারতে বৌদ্ধধর্মকে ধ্বংস করেছে। বৌদ্ধ প্রধান দেশ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক মহানগরীর বিখ্যাত রাজকীয় এমারেল্ড (মরকত মনি) বুদ্ধ মন্দিরের চারিদিক জুড়ে আছে দশরথ জাতকে রামকীর্তির অভিনব চিত্রশালা। মুসলমানদের বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির বানানোর মত হিন্দুরাজনীতি ইসলামিক হিজরি (১৪৪৫) সালকে ভেঙে চন্দ্র বা সূর্য ক্যালেন্ডারের নামে হিন্দুমার্কা বঙ্গাব্দ (১৪৩০) রচনা করেছেন।

হিন্দুরাজনীতি সম্রাট অশোকের বৌদ্ধ ভারতকে হিন্দু ভারত করল কেন? বৌদ্ধরা কিভাবে নমঃশূদ্র হলো? ব্রাহ্মণ্যধর্মী বল্লাল সেন (In 1235 A. D.) যখন বাংলার রাজা হলো, তখন সে বৌদ্ধধর্মীদের হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে হুলিয়া জারি করলো। বৌদ্ধরা তা মানলো না। শুরু হলো রাষ্ট্রশক্তির বলপ্রয়োগ ও অত্যাচার। অকথিত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, বৌদ্ধরা জলে জঙ্গলে (পূর্ববঙ্গে) পালালো। ওদের পিছনে ধাওয়া করে হত্যা করো। (গুরুচাঁদ চরিত ষষ্ঠ সংস্করণের ২৩৮ ও ২৩৯ পৃষ্ঠা দেখুন)। ব্রাহ্মন ও উচ্চবর্ণের ভারতে রক্তাক্ত দলিত বিদ্বেষ কেন? ব্রাহ্মন ও উচ্চবর্ণের হিন্দু যেই মানব, বৌদ্ধ দলিত, রোহিঙ্গা মুসলমান ও সেই মানব (দেশ, ৪ মে ২০০১ কলিকাতা পৃষ্ঠা ১২)! ইতিহাসের আলোকে ধর্মীয় নিপীড়ন প্রতিরোধ প্রসঙ্গ প্রার্থনা ছিল, “বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি!

কেন সকল নবী পয়গম্বরকে হিন্দু রাজনীতির আধিপত্যবাদের ইসলামের নবী বলতে হবে? কেন সকলের ধর্মকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করতে হয়? কেউ কি তার বাড়ী জমি অন্যকে দান করে দেয়? তাহলে বেহেস্ত দেবার প্রলোভন টা কী জালিয়াতি নয়? এই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। সা¤প্রদায়িকতা রাজনীতিতে কীভাবে প্রবেশ করেছে এবং কীভাবে তা দূর করা যায়, এ প্রসঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এখন কেবল মুখে কথা বললে হবে না, সা¤প্রদায়িকতা প্রতিরোধ করতে হবে। যে ভেদবুদ্ধি মানুষকে স¤প্রদায় দিয়ে চিহ্নিত করছে, এর বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে। সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজটি করতে হবে। কেবল ধর্মীয় স¤প্রীতি নয়, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের জন্যও নাগরিক সমাজসহ সবাইকে কাজ করতে হবে।

হিন্দু রাজনীতির আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে “বন্দে মাতরম” শীর্ষক কবিতার লেখক সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায়, “তখন বিশুদ্ধাত্মা শাক্যসিংহ (বুদ্ধ) অনন্তকালস্থায়ী মহিমা বিস্তারপূর্বক, ভারতাকাশে উদিত হইয়া, দিগন্ত প্রসারিত রূপে বলিলেন, – আমি তোমাদের রক্ষা করিব। বর্ণ বৈষম্য মিথ্যা। যাগযজ্ঞ মিথ্যা। বেদ মিথ্যা, সূত্র মিথ্যা, ঐহিক সুখ মিথ্যা, কে রাজা, কে প্রজা, সব মিথ্যা। ধর্মই সত্য। মিথ্যা ত্যাগ করিয়া সকলেই সত্যধর্ম পালন কর। (বঙ্কিম রচনাবলী, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৮২ থেকে ৩৮৩, সাহিত্য সংসদ প্রকাশিত! জয় সত্য ও মানবতার জয়। আবার আলোকিত হবে, বৌদ্ধময় হবে, সাম্য ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়বে চারিদিকে। ধর্মান্ধ বেয়াদপ সন্ত্রাসবাদ ব্রাহ্মণ সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ জানোয়ারের মতো বৌদ্ধ ভিক্ষু কে হত্যা করল কেন?

বৌদ্ধ সম্রাট অশোকের শিলালিপি ভারতীয় হিন্দু পন্ডিতগণ পড়তে পারলেন না; কিন্তু বৃটিশ পন্ডিত জেমস প্রিন্সেপ উক্ত শিলালিপি সম্বন্ধে বিভিন্ন গ্রন্থ সম্পাদনা কর স¤প্রতি মানবমনে উদীয়মান বুদ্ধের অনুভবে ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবোর্ন বৌদ্ধভিক্ষু হলেন। এই গ্রন্থে চিত্রে বুদ্ধ জীবনী ও আনবিক যুগে বৌদ্ধ ভারত সন্ধানে বিরাজমান। মানব জাতির উন্নয়নে গৌতমবুদ্ধের ধ্যান ও ধর্মের অবদান।

বাংলা ভাষা পালি ভাষার বিবর্তিত রুপ এবং বাংলা লিপি বহু চড়াই উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে এবং নানা ষড়যন্ত্রের দুর্ভেদ্য প্রাচীর বিদীর্ণ করে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত হলো অনাগত বংশের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আন্দোলন প্রবর্তন সূত্রময় ‘শহীদ দিবস।’

প্রতœতাত্তি¡ক গবেষণায় এই সিন্ধু প্রদেশে প্রত্নতাত্তি¡ক বৌদ্ধ নিদর্শনের ইতিহাস থেকেই প্রাগৈতিহাসিক কাশ্যপব্দ্ধুর বৌদ্ধধর্ম এবং বৈদিকপূর্ব ধ্যানমগ্ন রাজর্ষি মহেঞ্জোদারো (মহষসূদর্শন সূত্রে মহষসূদর্শন) বোধিসত্ত¡ রূপরেখাটির” সূত্র বেরিয়েছিল! হিন্দুপন্ডিতগণ দশরথ জাতককে বদলায়ে রামায়ণ রচনা করার পর উক্ত রামায়নের অযোধ্যা কান্ডের বত্রিশ নম্বর শ্লোকে সনাতন ধর্মের নবম অবতার গৌতমবুদ্ধকে চোর (HATE CRIME OF হিন্দুধর্ম) এবং বৌদ্ধদেরকে নাস্তিক বানিয়েছে। বৌদ্ধ জাতকই রামায়ন ও মহাভারতের উৎস!

বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি