অনলাইন ডেস্ক : চলতি মাসের শুরুর দিকে ইস্ট সাসেক্সের পিসহ্যাভেন মসজিদে সন্দেহজনক অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় স্টারমার বৃহস্পতিবার সেখানে যান। সফরকালে তিনি বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অতিরিক্ত অর্থ দিচ্ছে, যাতে তারা ‘শান্তি ও নিরাপত্তার মধ্যে’ জীবনযাপন করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, ব্রিটেন একটি গর্বিত ও সহনশীল দেশ। কোনো সম্প্রদায়ের ওপর হামলা মানে পুরো জাতি ও আমাদের মূল্যবোধের ওপর আঘাত।
৪ অক্টোবরের সেই ঘটনায় মসজিদের মূল প্রবেশপথ ও একটি গাড়ি পুড়ে যায়। তবে কেউ আহত হয়নি। সাসেক্স পুলিশ এটিকে ঘৃণাজনিত অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছে। বুধবার জীবননাশের উদ্দেশ্যে অগ্নিসন্ত্রাসের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, নতুন এ তহবিল থেকে যুক্তরাজ্যের মসজিদ ও মুসলিম ধর্মীয় কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি, অ্যালার্ম সিস্টেম, নিরাপত্তা বেড়া ও প্রশিক্ষিত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে সহায়তা দেওয়া হবে।
স্টারমার সফরকালে অগ্নিসন্ত্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত এক সদস্যের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তারা জানান, ওই ব্যক্তি এখনো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপাসনালয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী থাকা উচিত নয়, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজ আমাদের সে প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে যুক্তরাজ্যে ইসলামবিদ্বেষমূলক অপরাধ বেড়েছে ১৯ শতাংশ। সব ধর্মীয় ঘৃণাজনিত অপরাধের ৪৪ শতাংশই মুসলমানদের লক্ষ্য করে হয়েছে। ব্রিটিশ মুসলিম ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী আকিলা আহমেদ সরকারের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রত্যেকে যেন শান্তিতে, ভয়মুক্তভাবে জীবনযাপন করতে পারে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
