অনলাইন ডেস্ক : আগামী মে মাসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। সে জন্য চূড়ান্তও হয়েছিল সবকিছু। তবে বৃহস্পতিবার রাশিয়া ইউক্রেনের উপর হামলা চালালে সবকিছু উলটপালট হয়ে যায় ইউক্রেনের যুগলের।

রাশিয়ার হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মাথায় চার্চে গিয়ে বিয়ে করেন তারা। তবে বিয়ের পরে হানিমুনে নয়, সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নেন এ যুগল। বিয়ের প্রথম দিন পেরুনোর আগেই ইউক্রেইনের হয়ে লড়াই করার শপথ নেন তারা। তারা হলেন, ভিয়াতোস্লাভ ফারসন (২৪) ও ইয়ারিনা আরিয়েভা (২১)। খবর সিএনএন নিউজ।

এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসী হামলা থেকে ইউক্রেইনকে রক্ষায় বিয়ের পরপরই অস্ত্র সংগ্রহে নেমেছে এই নবদম্পতি। তারা দুজনেই যোগ দিয়েছেন টেরিটোরিয়াল ডিফেন্স ফোর্সে। ইউক্রেইন সশস্ত্রবাহিনীর এই শাখা স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে গঠিত।

সিএনএন জানায়, তাদের পরিকল্পনা ছিল, এক সুন্দর রেস্তোরাঁর ছাদ বারান্দায় উদযাপন করবেন জীবনের অন্যতম এই মুহূর্তটা। তার পাশে বহমান দিনেপার নদী। আরিয়েভার ভাষায়, ‘কেবল আমরা ও নদী। সঙ্গে সুন্দর আলো।’

কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি। যুদ্ধের ভয়ে যখন ইউক্রেনের মানুষ দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে, তখন বিয়ের পর নিরাপত্তার খোঁজে কোথাও না গিয়ে যাচ্ছেন যুদ্ধের মাঠে।

আরিয়েভা বলেন, আমাদের পক্ষে যা সম্ভব হবে দেশের জন্য আমরা তাই করবো। শুধু এইটুকু প্রত্যাশা, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আবার সবকিছু আলো ঝলমলে হবে।

আরিয়েভা আরও বলেন, নিজের দেশকে বাঁচাতে আপনিও এই যুদ্ধে নেমে পড়তে পারেন। এটাই এখন একমাত্র সমাধান।

২০১৯ সালে কিয়েভের এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পরিচয় হয় ইয়ারিনা আরিভা এবং ভিয়াতোস্লাভ ফারসন নামের এই প্রেমিকযুগলের। ধীরে ধীরে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামো ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওপর হামলা শুরু করে রাশিয়া। দ্বিতীয় দিনেই রাশিয়ার সেনারা দেশটির রাজধানী কিয়েভে পৌঁছে গেছে।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে হোস্টোমেল বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।